অবিরাম বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত সাম্প্রতিক বন্যায় বিপর্যস্ত খাগড়াছড়ি জেলার বিভিন্ন বন্যাকবলিত এলাকায় ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছে দিলেন খাগড়াছড়ি জেলার পুলিশ সুপার জনাব মুক্তা ধর পিপিএম (বার)।
শনিবার (২৪ আগস্ট) বিকাল ৩.০০ ঘটিকায় খাগড়াছড়ি জেলার গঞ্জপাড়া এলাকায় বন্যার্তদের মাঝে খাবার স্যালাইন, পানি বিশুদ্ধকরণ টেবলেট, বিস্কুট, মুড়ি, বিশুদ্ধ পানি, লবন সহ নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী তুলেদেন খাগড়াছড়ি জেলার পুলিশ সুপার জনাব মুক্তা ধর পিপিএম (বার)।
এসময় পুলিশ সুপার বলেন, অতিবৃষ্টির ফলে খাগড়াছড়ি জেলার বিভিন্ন এলাকার মানুষ এখনও পানিবন্দি। অনেক পরিবারের লোকজন অসহায়ভাবে দিনাতিপাত করছেন।
আরো পড়ুন:খাগড়াছড়িতে সেনাবাহিনীর ২০৩ রিজিয়নের উদ্যোগে বন্যার্তদের মাঝে ত্রান বিতরণ
তাদের অসহায়ত্বের কথা বিবেচনা করে আমরা বন্যাকবলিত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছি। এই ধারাবাহিকতা যতদিন বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হয় ততদিন অব্যাহত থাকবে। পুলিশ সব সময় মানুষের সেবায় কাজ করে। খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশ দেশের সকল দুর্যোগ দুর্বিপাকে সবার আগে জনগণের পাশে থাকে। জনগণের জানমালের নিরাপত্তা জন্য পুলিশ আন্তরিকতার সহিত কাজ করে যাচ্ছে।
গঞ্জপাড়া এলাকার মিন্টু দাশ বলেন, বন্যায় আমাদের ঘর বাড়িতে পানি উঠে গেছে। খুব কষ্টে আমাদের দিন কাটছিল। পুলিশ সুপারের কাছ থেকে ত্রাণ পেয়ে ভালো লাগছে।পুলিশ সুপার এর আগেও আমাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছিলেন। আজকেও তিনি আমাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন। ইশ্বর পুলিশ সুপার মহোদয়ের ভালো করুক। অংমাপ্রু বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে শুরু করে যেকোনো বিপদ-আপাদে আমরা সব সময় পুলিশ সুপার মহোদয়েকে কাছে পেয়েছি।
আরো পড়ুন:বন্যা কবলিত মানুষের পাশে দাড়িয়েছে ফুদেবং বুদ্ধোর ধর্ম ছদক
সেলিনা বলেন, পুলিশ সুপার মহোদয় আমাদের জন্য ত্রাণ নিয়ে হাজির হয়েছেন। বন্যায় আমাদের ঘর বাড়িতে পানি উঠে যাওয়ায় আমরা কষ্টে আছি। আমাদের কষ্টের সময় পুলিশ সুপার পাশে এসে দাঁড়িয়েছন। তাই আমরা পুলিশ সুপারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত) মাহমুদা বেগম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. তফিকুল আলম, খাগড়াছড়ি সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল বাতেন মৃধা সহ জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
মোঃ আনোয়ার হোসেন জীবন,খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি
32.jpg)
