দীর্ঘ অপেক্ষার পর আবারও বাধা, ঝুঁকি নিয়েই সমুদ্রে নামছেন জেলেরা

 অনলাইন ডেস্ক    ১৪ আগষ্ট, ২০২৩ ১২:৪৪:০০নিউজটি দেখা হয়েছে মোট 15 বার

দেশের উপকূলীয় জেলায় বসবাসরত বেশিরভাগ সাধারণ মানুষই জেলে। তাদের প্রধান কাজ মৎস্য শিকার করা। জেলেরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ঝড়-তুফান ও বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করে দেশের বিপুল সংখ্যক মানুষের আমিষের জোগান দেয়।

সামুদ্রিক মাছের নিরাপদ প্রজনন ও উৎপাদন বাড়াতে গত ১৯ মে থেকে ২৩ জুলাই সমুদ্রে মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা ছিলো ৬৫ দিনের জন্য।

আর এই নিষেধাজ্ঞা শেষে কয়েক দিন মাছ শিকার করার পর বৈরী আবহাওয়া শুরু হওয়াতে উপকূলীয় জেলেদের আবারও বন্ধ হয়ে পড়েছে মৎস্য শিকার। এতে স্থানীয় জেলেদের জীবনযাত্রার মান অনেকাংশে কমে গেছে।

তাই দীর্ঘ সময় কর্মহীন অবস্থায় ঘাটে নোঙর করে থাকার পর এবার অনেকটা ঝুঁকি নিয়েই সমুদ্রে যাচ্ছেন তারা।

আরও পড়ুন: মেহেরপুর জেলার মানব পাচার প্রতিরোধ কমিটির সভা অনুষ্ঠিত...

তবে মৎস্য বিভাগ বলছেন, এখনও পুরোপুরি বৈরী আবহাওয়ার রেশ কাটেনি। মাছ শিকারি জেলেদের সতর্ক অবস্থানে থেকে উপকূলের কাছাকাছি মাছ ধরার জন্য বলা হয়েছে। বৈরী আবহাওয়ার কারণে এক সপ্তাহের বেশি সময় ঘাটে নোঙর করে থাকার পর এবার সমুদ্রের দিকে ছুটেছেন হাজার জেলে ট্রলার।

এদিকে আবহাওয়া পুরোপুরি অনুকূলে না এলেও পেটের দায়ে ঝুঁকি জেনেও সমুদ্রে যাচ্ছেন জেলেরা। সমুদ্র উত্তাল থাকায় টানা এক সপ্তাহের বেশি সময় ঘাটে বসে থাকায় সংসার চালাতেও হিমশিম খেতে হয়েছে জেলেদের। এ অবস্থায় সমুদ্রে মাছ শিকারে যাওয়া ছাড়া আর কোনো পথই খোলা নেই তাদের।

আরও পড়ুন: মেহেরপুর জেলার মাসিক আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত...

পটুয়াখালীর মৎস্যজীবী মালিক সমিতি থেকে জানা গেছে, ২৩ জুলাই ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ার পর দফায় দফায় যাচ্ছে প্রতিকূল আবহাওয়া।ভালোভাবে এক সপ্তাহ মাছ ধরতে পারে নাই জেলেরা। এ অবস্থায় জেলে, আড়তদার, মৎস্য ব্যবসায়ী এবং এই পেশার সঙ্গে সম্পৃক্ত সবার অবস্থা নাজুক হয়ে দাঁড়িয়েছে।

সমুদ্র তীরবর্তী এ জেলার প্রায় এক লাখ জেলের জীবন-জীবিকা নির্ভর করে সমুদ্রে মাছ শিকারের ওপর। দীর্ঘ সময় কর্মহীন থাকার কারণে এসব জেলে পরিবারের দিন কাটছে এখন খেয়ে না খেয়ে।

অনলাইন ডেস্ক