বন্যার্তদের সহযোগিতায় পিছিয়ে নেই শিশুরা, দান করছেন জমানো টাকা

 জবি প্রতিনিধি    ২৭ আগষ্ট, ২০২৪ ১০:৪২:০০নিউজটি দেখা হয়েছে মোট 34 বার

আকস্মিক ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে কুমিল্লা, ফেনী ও নোয়াখালীসহ কয়েকটি জেলা পানির নিচে তলিয়ে গেছে। এমন অবস্থায় বন্যাকবলিত এলাকায় সহযোগিতার জন্যা টানা পঞ্চম দিনের মতো গণত্রান সংগ্রগহ করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীরা। গণত্রান কর্মসূচীতে পিছিয়ে নেই ছোট শিশুরা, নিজেদের টিফিন থেকে জমানো টাকা দিচ্ছেন বন্যার্তদের সহযোগিতায়।

রাজধানীর আইডিয়াল মডেল স্কুলের ২য় শ্রেণির ছোট্ট শিক্ষার্থী জান্নাতুল আদানী ও গ্রিন ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের ২য় শ্রেণির ছোট্ট শিক্ষার্থী রাইয়াত হোসেন। নিজেদের ব্যক্তিগত জমানো টাকা বন্যা কবলিত মানুষের জন্য দান করতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে আসে।

উভয়েই তাদের মাকে সঙ্গে নিয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শহিদ সাজিদ অ্যাকাডেমিক ভবনের নিচে জবি শিক্ষার্থীদের বসানো বুথে এসে টাকা জমা দেয়। এদিকে নিজের ব্যক্তিগত জমানো টাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বুথে জমা দিতে এসে শিশু রাইয়াত হোসেন বলেন, বন্যার্তদের জন্য প্লাস্টিকের ব্যাংকে জমানো টাকা দান করছি। এই টাকা দিয়ে যদি একজন বন্যাকবলিত মানুষেরও সাহায্য হয়, তাহলেই আমি খুশি।

আরেক শিশু জান্নাতুল আদানী বলেন, অনেক আগে থেকেই আমি ব্যাংকে কয়েন টাকাগুলো জমাচ্ছিলাম। সকালে মাকে বললাম, এই টাকাগুলো আমি বন্যা কবলিত অসহায় মানুষদের সাহায্যের জন্য দিয়ে আসতে চাই। এজন্য মায়ের সাথে এখানে টাকাগুলো দিতে আসলাম।

গণত্রাণ কর্মসূচি সক্রিয় সদস্য সোহান প্রামাণিক বলেন, আমরা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা উদ্যোগ নিয়েছি ত্রাণ সহায়তা করব সেই জায়গা থেকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, পুরান ঢাকার মানুষজন এবং সারা বাংলাদেশের বিভিন্ন প্লাটফর্ম থেকে সাড়া পেয়ে অর্থ উত্তোলন করে পাঁচটি জেলায় দশটি টিমের মাধ্যমে প্রতিদিন ট্রাকের মাধ্যমে খাদ্য পাঠিয়ে দিচ্ছি।

এছাড়াও আমাদের পর্বরতী প্লান আছে উত্তোলনের টাকা পূণর্বাসন কেন্দ্রের জন্য পাঠাবো।

উল্লেখ্য, রোববার রাত এগারোটা পর্যন্ত বন্যার্তদের সহযোগিতায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ এবং কেন্দ্রীয়ভাবে প্রায় ৫৮ লক্ষ টাকা ফান্ড সংগ্রহীত হয়েছে। ত্রাণ সংগ্রহ এখনো চলমান রয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন বিভাগের ত্রাণ সংগ্রহের তথ্য কেন্দ্রীয় ফান্ড সংগ্রহ টীমের কাছে পৌঁছেনি। ফলে পরিপূর্ণ হিসাব দেয়া সম্ভব হচ্ছে না বলে জানান, কেন্দ্রীয় ফান্ড সংগ্রহ টীমের সদস্যরা।

জবি প্রতিনিধি