জিরো থেকে হিরো লাল্টু-বেল্টু, বাৎসরিক আয় ৭০ লাখ টাকা

 তরিকুল ইসলাম    ৬ মার্চ, ২০২৪ ১৪:০৭:০০নিউজটি দেখা হয়েছে মোট 32 বার

রাজমিস্ত্রি থেকে ১৫ বছরের ব্যবধানে গ্রামে গ্রামে পোশাক বিক্রি করে বছরে ৭০ লাখ টাকা আয় করছেন মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার নতুন ব্রজপুর গ্রামের লাল্টু ও বেল্টু নামের দুই ভাই। গ্রামে গড়ে তুলেছেন বড় একটি প্রতিষ্ঠান। দুই ভাইরের যৌথ ব্যাবসার কারণে প্রতিষ্ঠানের নাম রেখেছেন ভাই ভাই গার্মেন্টস।

মায়ের গরু বিক্রির মাত্র ৪০ হাজার টাকা নিয়ে ব্যবসা শুরু করেন তারা। পরে ঢাকা ও কুস্টিয়ার পুরাদহ থেকে পাইকারি দামে পণ্য সংগ্রহ করে মেহেরপুর ও কুষ্টিয়া জেলার প্রায় ২০০ দোকানে তারা পোশাক বিক্রি করেন।

এছাড়া পাইকারি ও খুচরা মূল্যে নিজেদের দোকানে ও বিভিন্ন গ্রামে গ্রামে ঘুরে তারা পণ্য বিক্রি করে থাকেন। হাতের নাগালে কম মূল্যে এসব পন্য পেয়ে খুশি ক্রেতারাও। ব্যবসা শুরু করার আগে বিভিন্ন গ্রামে রাজমিস্ত্রির কাজ করে সংসার চালাতেন লাল্টু ও বেল্টু।

এরপর মায়ের একটি শখের গরু বিক্রি করে দুই ভাই ছিট কাপড়ের ব্যবসা শুরু করেন। অর্থের অভাবে প্রথমে সাইকেলের মাধ্যমে ফেরি করে ব্যবসা শুরু করার কিছু দিন পর ইঞ্জিন চালিত নসিমন নিয়ে গ্রামে গ্রামে পোষাক বিক্রি করেন।


পরে দুই ভাই টাটা কোম্পানির কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করে তিনটা পিক আপ কিনে তাদের ব্যবসা পরিচালনা করেন। ব্যবসা থেকে প্রতিদিন সকল খরচ খরচা বাদ দিয়ে ২০ হাজার টাকা লাভ থাকে বলে জানিয়েছেন লাল্টু, বেল্টু দুই ভাই।

আরও পড়ুন: উইমেন স্পিকার্স সামিটে যোগ দিতে ফ্রান্সে গেলেন শিরীন শারমিন...

একটা সময় লাল্টু বেল্টু ও বাবা নুরুল ইসলাম বিভিন্ন জেলায় রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন। বড় ছেলে লালটু বিদেশ যাওয়ার জন্য চেষ্টা করে যখন দেশের বাইরে যাওয়া হলো না ঠিক তখনই এই ব্যবসার সিদ্ধান্ত নেন লালটু বেল্টুর বাবা নুরুল ইসলাম।


বাড়িতে আত্মীয়-স্বজন আসলে ফোন দিলে তারা পোশাক পৌঁছে দেয় ঠিকানা মত। এছাড়া শহরে তুলনায় পণ্যের ভালো মান ও দাম কম হওয়ায় তাদের পোশাকের প্রতি আগ্রহ বেড়েছে এলাকাবাসীর।

লালটু বেল্টুর সাথে পাঁচ ছয় বছর কাজ করে প্রতি মাসে ১৫০০০ টাকা করে বেতন পায় বলে জানান তার কর্মচারীরা।

তরিকুল ইসলাম