ইবিতে ছাত্রলীগের কার্যালয় ভাঙচুর, পুলিশকে দুয়োধ্বনি

 ইবি প্রতিনিধি    ১৮ জুলাই, ২০২৪ ০৯:২৭:০০নিউজটি দেখা হয়েছে মোট 32 বার

কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে দেশব্যাপী সংঘর্ষের ঘটনার জের ধরে উত্তপ্ত ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়। জরুরী সিন্ডিকেট সভায় বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের পাশাপাশি দুপুর ১ টার মধ্যে ছাত্রদের হল ত্যাগের নির্দেশ দিলেও তা উপেক্ষা করে আন্দোলনে নেমেছে শিক্ষার্থীরা।

এসময় দায়িত্বরত পুলিশ বাহিনীকে দুয়োধ্বনি দেন তারা, ভাংচুর করা হয়েছে শাখা ছাত্রলীগের কার্যালয়ও। বুধবার (১৬ জুলাই) দুপুর ৩ টার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে পূর্বঘোষিত কর্মসূচীর অংশ হিসেবে কয়েকশো শিক্ষার্থী বটতলা প্রাঙ্গণে সমবেত হতে থাকে।

অধিকাংশ শিক্ষার্থীর হাতে লাঠিসোঁটা দেখা যায়। সেখান থেকে মিছিল নিয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে যেয়ে অবস্থান নেওয়ার সময় অবস্থানরত পুলিশদের দুয়োধ্বনি দেয় তারা।

শিক্ষার্থীরা আমার ভাই মরলো কেন, প্রশাসন জবাব চাই; হৈ হৈ রৈ রৈ, ছাত্রলীগ গেলি কৈ, লেগেছে রে লেগেছে, রক্তে আগুন লেগেছে; কোটার বিরুদ্ধে, ডাইরেক্ট একশন', 'কোটা আন্দোলনে হামলা কেন, প্রশাসন জবাব চাই; কোটা না মেধা, মেধা মেধা ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন শিক্ষার্থীরা। বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে জিয়ামোড় অতিক্রম করার সময় সেখানে অবস্থিত ছাত্রলীগের কার্যালয়ে হামলা চালায় আন্দোলনকারীরা।

এসময়ে কার্যালয়ে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ এবং লাঠিসোঁটা দিয়ে হামলা চালাতে দেখা যায় তাদের। সেখানে থেকে হলগুলো খুলে দেওয়া এবং ক্যাম্পাসকে রাজনীতি মুক্ত রাখার দাবিতে বিকাল ৪টার দিকে ভিসির বাসভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করে শিক্ষার্থীরা।

১ঘন্টার নোটিশে হল বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্তকে প্রত্যাখ্যান করে উপাচার্যের সাথে ১০ সদস্যর প্রতিনিধি দল সাক্ষাৎ করে আজকেই হল খুলে দেওয়ার দাবী জানালে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তৎক্ষনাৎ সিদ্ধান্ত দিতে পারবেনা জানালে প্রতিনিধিদল উপাচার্যের বাসভবন ত্যাগ করে।

অবস্থান কর্মসূচি চলাকালে বক্তারা বলেন, আমাদের যৌক্তিক আন্দোলনকে থামিয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্যেই তড়িঘড়ি করে ক্যাম্পাস ও হল গুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যেই আমাদের ভাইদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে, তাদের জীবনের উপর হুমকি আসছে। আমাদের শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার জন্য আমরা হল গুলো খুলে দেওয়ার দাবী জানাই। একইসাথে ছাত্ররাজনীতি মুক্ত ক্যাম্পাস নিশ্চিতে আমরা প্রশাসনের প্রতি দাবী জানাই। আমাদের দাবী মেনে না নেওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।

ইবি প্রতিনিধি