শেখ হাসিনার ‘গোপন কারাগারের’ কথা জানালেন ব্যারিস্টার আরমান

 অনলাইন ডেস্ক    ১৫ আগষ্ট, ২০২৪ ১১:০৫:০০নিউজটি দেখা হয়েছে মোট 11 বার

চোখ বাঁধা, হাতে হ্যান্ডকাফ— দীর্ঘ আট বছর পর গোপন কারাগার থেকে বের করে নিয়ে আসা হয় জামায়াতে ইসলামীর নেতা মীর কাশেম আলীর ছেলে ব্যারিস্টার আরমানকে। কী হয় এ নিয়ে বেশ আতঙ্কে… তখনই একটি পিস্তলের শব্দ শুনতে পান তিনি।

তবে গুলি করার বদলে ঢাকার উপকণ্ঠের একটি কর্দমাক্ত জায়গায় গাড়ি থেকে জীবিত অবস্থায় ফেলে দেওয়া হয় তাকে। মুক্ত হওয়ার পর ব্যারিস্টার আরমান কোনোভাবেই জানতেন না দেশে শিক্ষার্থীর আন্দোলন চলছিল। যেই আন্দোলনের পরই তিনি আট বছরের বন্দিদশা থেকে মুক্তি পেয়েছেন।

ব্যারিস্টার আরমান বলেছেন, আট বছরের মধ্যে সেবারই আমি প্রথম মুক্ত বাতাস পাই। আমি ভেবেছিলাম তারা আমাকে মেরে ফেলবে। ব্যারিস্টার আরমানকে দীর্ঘ আট বছর বন্দি করে রেখেছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

কিন্ত তিনি শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন। ওই আন্দোলনের মুখে তার দীর্ঘ ১৫ বছরের স্বৈরশাসনের আকস্মিক সমাপ্তি ঘটে। যার মধ্যে ছিল গণ গ্রেপ্তার এবং তার বিরোধীদের বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড।

ব্যারিস্টার আরমানকে আটকে রাখা হয়েছিল একটি গোপন কারাগারে। এই কারাগারে যারা থাকেন সেখানে তারা নিজেকে ছাড়া আর কাউকে দেখতে পান না। মীর কাশেমের ছেলে ব্যারিস্টার আরমানকে আটকে রাখা হয়েছিল জানালাবিহীন একটি ঘরে।

গত বছর হিউম্যান রাইটস ওয়াচ জানিয়েছিল ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর নিরাপত্তা বাহিনী ৬০০টিরও বেশি গুমের ঘটনা ঘটিয়েছে।

অনলাইন ডেস্ক