কাওয়ালীর সূরে মুখরিত ইবি ক্যাম্পাস

 ইবি প্রতিনিধি    ১১ সেপ্টেম্বার, ২০২৪ ১০:২০:০০নিউজটি দেখা হয়েছে মোট 28 বার

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের 'জুলাই বিপ্লব-২০২৪' এ নিহত শহীদদের স্মরণে ও আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ‘জাগ্রত মঞ্চের’ উদ্যোগে দ্রোহের গান ও কাওয়ালী সন্ধ্যা আয়োজিত হয়েছে। গত মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৫টা থেকে ক্যাম্পাসের ডায়না চত্বর ও মেইন গেটের মধ্যবর্তী স্থানে কাওয়ালী আসরের আয়োজন করা হয়।

এ সময় কাওয়ালি গানের পাশাপাশি বিপ্লবী গান, কবিতা, হামদ, নাতে রাসূলসহ বিভিন্ন ধরনের আয়োজনে মুখরিত করে রাখে ব্যাতিক্রম সাহিত্য সাংস্কৃতিক জোটের শিল্পীরা। দীর্ঘদিন পর ক্যাম্পাসে এমন এক আয়োজনে নেমেছে ছাত্র জনতার ঢল।

প্রশাসনের অনুপস্থিতিতে কোনোপ্রকার বিশৃঙ্খলা এড়াতে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা। কাওয়ালী সন্ধ্যায় উপভোগ করা শিক্ষার্থী আশিকুর বলেন, অনেকদিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় ক্যাম্পাস নিষ্প্রাণ হয়ে গিয়েছিলো। কাওয়ালী সন্ধ্যার মাধ্যমে এ নিষ্প্রাণ ক্যাম্পাসে প্রাণের সঞ্চার হয়েছে। উপরন্তু ক্যাম্পাস জীবনের কয়েক বছরে এমন আয়োজন দেখিনি। সবাই যেন মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে অনুষ্ঠান উপভোগ করেছে।

শিক্ষার্থী তানিয়া বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শুরু থেকেই সকল শিক্ষার্থীদের মানসিক অবস্থা ভালো ছিলোনা। এতে অংশ নেওয়া অনেক শিক্ষার্থী আহত এবং নিহত হয়। ক্যাম্পাসেও একাডেমিক কার্যক্রম স্থগিত থাকায় যেন এই মানসিক অবস্থার উন্নতি হচ্ছিল না। দীর্ঘদিন পর ক্যাম্পাসে এমন আয়োজন সবার মাঝে উদ্দীপনা ফিরিয়ে দিয়েছে।

ইবি সমন্বয়ক এস এম সুইট বলেন, আমাদের এক রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের ফসল আজকের এই সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা। আমরা এতদিন এক ফ্যাসিবাদী সিস্টেমের মধ্যে ছিলাম। আমরা সংগ্রাম করে ফ্যাসিবাদের হাত থেকে মুক্ত হয়েছি কিন্তু আমাদের যুদ্ধে এখনো শেষ হয়ে যায়নি। আমরা রক্ত দিয়ে যে স্বাধীনতা অর্জন করেছি তা আমাদের টিকিয়ে রাখতে হবে।

আগামী দিনে এই ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় হবে সকল মতের, সকল ধর্মের এক উর্বর ভূমি। অনুষ্ঠানের আয়োজকরা জানান, এই কাওয়ালী মুসলিম কবিদের হাজার বছরের ইতিহাস বহন করে। বাঙালি মুসলিম কবিরা অজস্র কবিতা ও গান রচনা করেছেন।

এই সকল কিছুই আমাদের সমাজের প্রাণ, এই প্রাণকে জাগিয়ে তোলার জন্যেই আজাদী মঞ্চের এই কাওয়ালী সন্ধ্যা। আমাদের মুসলিম কবিদের সৃষ্টিকে আমরা কাওয়ালির মাধ্যামে জাগিয়ে তুলব এবং বারবার আমরা উজ্জীবিত হব।

ইবি প্রতিনিধি