আজ শোকাবহ আগস্টের প্রথম দিন

 অনলাইন ডেস্ক    ১ আগষ্ট, ২০২৩ ১৩:০১:০০নিউজটি দেখা হয়েছে মোট 2 বার

আজ শোকাবহ মাস আগস্টের প্রথম দিন। এই মাসেই ১৯৭৫ সালে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানকে সহপরিবারে হত্যা করা হয়েছিলো এবং বাঙালি জাতির হারিয়েছিলো দেশের অভিভাবককে।

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের কন্যা, বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা করার চেষ্টা করা হয়েছিলো এই মাসে। ২০০৪ সালে ২১ আগস্ট যে গ্রেনেড হামলা হয়েছিলো সেখানে ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান প্রধানমন্ত্রী।

এই মর্মান্তিক ঘটনায় নিহত হয়েছিলেন আওয়ামী লীগের সেই সময়ের মহিলাবিষয়ক সম্পাদক আইভি রহমান সহ ২৪ জন এবং আহত হয়েছিলো ৫ শতাধিক নেতা-কর্মী।

১৯৭৫ সাল ১৫ আগস্টে কালরাতে ঘাতদের হাতে থেকে শুধু বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান প্রাণ হারায়নি। তাদের হাতে থেকে রক্ষা পাইনি বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, বঙ্গবন্ধুর সন্তান শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শিশু শেখ রাসেল ছাড়াও পুত্রবধূ সুলতানা কামাল ও রোজি জামাল।

পৃথিবীর ইতিহাসের ওই ঘৃণ্যতম হত্যাকাণ্ড থেকে বাঁচতে পারেননি বঙ্গবন্ধুর ভগ্নিপতি আব্দুর রব সেরনিয়াবাত, সহোদর শেখ নাসের, ভাগ্নে যুবনেতা শেখ ফজলুল হক মনি, তার সহধর্মিণী আরজু মনি ও কর্নেল জামিলসহ পরিবারের ১৬ সদস্য ও আত্মীয়-স্বজন। 

আরও পড়ুন: বুধবার রংপুর যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী...

সেনাবাহিনীর কিছুসংখ্যক সদস্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে সহপরিবারে হত্যার পর পুরো বিশ্বে নেমে এসেছিলো শোকের ছায়া।

বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর নোবেল জয়ী পশ্চিম জার্মানির নেতা উইলি ব্রানডিট বলেছেন, শেখ মুজিবকে হত্যার পর বাঙালিদের আর বিশ্বাস করা যাবে না। যে বাঙালি শেখ মুজিবকে হত্যা করতে পারে, তারা যেকোন জঘন্য কাজ করতে পারে।

১৬ আগস্ট টাইমস অব লন্ডন-এ বলা হয়, সবকিছু সত্ত্বেও বঙ্গবন্ধুকে সবসময় স্মরণ করা হবে। কারণ, তাকে ছাড়া বাংলাদেশের বাস্তব কোন অস্তিত্ব নেই।

একই দিন লন্ডন থেকে প্রকাশিত ডেইলি টেলিগ্রাফ পত্রিকায় বলা হয়, বাংলাদেশের লাখ লাখ মানুষ শেখ মুজিবের জঘন্য হত্যাকাণ্ডকে অপূরণীয় ক্ষতি হিসেবে বিবেচনা করবে।

বরাবরের মত এবারও ১৫ আগস্টকে সামনে রেখে নানান কর্মসূচি পালন করবে আওয়ামী লীগসহ সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনগুলো। শোকের মাসের শুরু থেকেই পালন করা হবে এসব কর্মসূচি।


অনলাইন ডেস্ক