এডিসি সানজিদার বিষয়ে এই প্রথম মুখ খুললেন হারুন

 অনলাইন ডেস্ক    ১৩ সেপ্টেম্বার, ২০২৩ ১৬:২৬:০০নিউজটি দেখা হয়েছে মোট 23 বার

পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) সানজিদা আফরিনকে কেন্দ্র করে শাহবাগ থানায় তিন ছাত্রলীগ নেতাকে মারধরের ঘটনায় রীতিমতো তুলকালাম চলছে প্রশাসনে। গত শনিবার এ ঘটনা ঘটে।

সেদিনের মারধরের ঘটনার পর (এডিসি) হারুন-অর-রশীদকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। পরে আবার তাকে রংপুর রেঞ্জে বদলি করা হয়।

সেদিন বারডেম হাসপাতালে সানজিদার ফোন পেয়ে যাওয়ার পর কী ঘটেছিল, সে বিষয়ে এডিসি হারুন প্রথমবারের মতো গণমাধ্যমে কথা বলেছেন।

এডিসি হারুন বলেন, গত শনিবার আমি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) ডাক্তার পবিত্র কুমারের কাছে আমার বাবা-মাকে নিয়ে যায় চিকিৎসার জন্য।

তখন বেলা ২টার সময় আমাদের এডিসি ক্রাইম-১ ফোন করে বলেন, তার চেস্ট পেইন। সে জন্য বারডেম হাসপাতালের ডাক্তার প্রফেসর রশিদ স্যারের অ্যাপয়েন্টমেন্ট নেওয়া যাবে কিনা।

তখন আমি ফোন দিয়ে ওসি রমনা থানার আবুল হাসান সাহেবকে বলি একটা সিরিয়াল ম্যানেজ করে দেওয়ার জন্য। আবুল হাসান সাহেব পরবর্তীতে আমাকে জানান, সন্ধ্যা ৬টায় একটা সিরিয়াল ম্যানেজ করে দেওয়া হয়েছে। আমি সেটা এডিসি ক্রাইম-১-কে জানাই।

এডিসি হারুনের ভাষ্য অনুযায়ী, পরবর্তীতে প্রফেসর ডা. আব্দুর রশিদ স্যার বারডেমের কনফারেন্স বা অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ কাজে ব্যস্ত হয়ে যাওয়ার কারণে সময় দিতে পারছিলেন না।

আরও পড়ুন: এডিসি হারুনের সঙ্গে রংপুরে বদলি সানজিদাও, ঘটনার দায় চাপালেন স্বামীর উপর...

এরপর এডিসি সানজিদা আমাকে ফোন করে বলেন, স্যার এখানে ডাক্তার ব্যস্ত আছেন, উনি আজকে আমাকে সময় দিতে পারবেন না। কিন্তু আমি অসুস্থ বোধ করছি। তখন আমি বললাম, দেখি কথা বলি ডাক্তারের সঙ্গে। আমি সেখানে যাই। ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলার পর ডাক্তার দেখেন।

হারুন আরও বলেন, ডাক্তারা পরবর্তীতে এডিসি সানজিদাকে তিনটি টেস্ট করান। ইসিজি, ইকো এবং ইটিটি। যখন এডিসি সানজিদা ইটিটি রুমের ভেতরে পেশেন্ট ছিলেন আমি তখন বাইরে ভিজিটরেরা যেখানে অপেক্ষা করেন, সেখানে ছিলাম।

তখন আজিজুল হক মামুন (এডিসি সানজিদার স্বামী) এবং তার সঙ্গে আরও চার-পাঁচজন আসেন। আমার বাম চোখের ওপরে একটা ঘুষি মারেন।

আমি খুব অপ্রস্তুত হয়ে পড়ি। তাকে জিজ্ঞেস করি, ভাই আপনি আমাকে কেন মারলেন? আপনি তো আমার গায়ে হাত তুলতে পারেন না। তখন তার সঙ্গে থাকা অন্য শিক্ষার্থীরাও আমার উপরে চড়াও হন। তারা আমাকে জোরপূর্বক ইটিটি রুমের ভেতরে টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যান। সেখানে আমাকে মারধর করেন। পরে আমি আত্মরক্ষার্থে শাহবাগ থানাপুলিশকে কল করি। এর মধ্যে হাসপাতালের নিরাপত্তাকর্মীরাও আসেন। ফোর্স না আসা পর্যন্ত আমি ইটিটি কক্ষেই ছিলাম। ১০-১৫ মিনিট পর শাহবাগ থানাপুলিশ এসে সবাইকে থানায় নিয়ে যায়। এর পর আমি চলে যায়।

অনলাইন ডেস্ক