যতদিন বাঁচবো ততদিন ভালো কাজ করে যাব: প্রকৌশলী টুটুল

 ইবি প্রতিনিধি    ৫ জুন, ২০২৪ ০৯:২৭:০০নিউজটি দেখা হয়েছে মোট 5 বার

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. আলীমুজ্জামান টুটুল বলেছেন, আমি অনেক বড়লোক না। সাধারণভাবে জীবন যাপন করলেও আমি চাই সবাইকে নিয়ে ভালো থাকতে। আর কিছু মানুষ জনহিতকর কাজ সহ্য করতে না পেরে বিভিন্ন ভাবে হুমকি ধামকি দেয় এবং আমাকে নিরুৎসাহিত করার চেষ্টা করে। তারা যতই নিরুৎসাহিত করুক আমি যতদিন বাঁচব বা ক্যাম্পাসে আছি ততদিন ক্যাম্পাসে ভালো কাজ করে যাব।

মঙ্গলবার (৪ জন) দুপুরে তার নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন তিনি।

এ সময় তিনি বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলাধুলা সংশ্লিষ্ট যেকোন দল জাতীয় কিংবা বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের খেলায় যদি চ্যাম্পিয়ন হতে পারে তাহলে তাদের জন্য আমি বিশেষ উপহারের ব্যবস্থা করবো, পুরষ্কৃত করবো। আমি চাই ইবির শিক্ষার্থীরা লেখাপড়ার পাশাপাশি ক্রিকেট বা সব ধরনের খেলাধুলার প্রতি আগ্রহী হোক।

এই জন্য আমাদের প্রতিষ্ঠান গ্রীন আর্কিটেক্ট এবং গ্রীন ডেভলপারের পক্ষ থেকে সবসময় এদের পাশে থাকি, ভবিষ্যতেও থাকব। কিছুদিন আগে ইবি ক্রিকেট টিম রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রানার্সআপ হয়ে এসেছে, তাদের পুরো টিমকে আমি নিজস্ব অর্থায়নে ব্লেজার উপহার দিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, এবছরের আন্তঃবিভাগ ক্রিকেট টুর্নামেন্টে বিশ্ববিদ্যালয়ে যে ৩৬ টি বিভাগ অংশ নিয়েছিল তারমধ্যে ৭টি দলকে আমি জার্সি স্পন্সর করেছি। পাশাপাশি যে ২ টি দল ফাইনাল খেলেছে তাদেরকে গ্রীন আর্কিটেক্টের পক্ষ থেকে নতুন জার্সি উপহার দিয়েছি। এছাড়া চ্যাম্পিয়ন দলকে তাৎক্ষণিক গিয়ে ১০ হাজার টাকা প্রাইজমানি দিয়েছি।

প্রকৌশলী টুটুল বলেন, আমার কাছে কিছুদিন আগে কয়েকজন শিক্ষার্থী এসেছিল একজন মেয়ে শিক্ষার্থীকে সাথে নিয়ে। ওই মেয়ে ইবির মেয়েদের মার্শাল আর্ট (কারাতে) প্রশিক্ষণ দেয়। সে জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত। সে বলেছিল যে ক্যাম্পাসের অনেক মেয়ে মার্শাল আর্টে আগ্রহী তবে মেয়েদের প্রশিক্ষণ নিতে প্রতি শিক্ষার্থীদের ২০০ থেকে ৩০০ টাকা খরচ হয়।

আমাদের যে তিনটা হল আছে একেক হল থেকে প্রায় ১৫০ জনেরও বেশি শিক্ষার্থী প্রশিক্ষণ নিতে আগ্রহী। তাদের প্রায় ৬০-৭০ হাজার টাকা খরচ হয় বা টাকা প্রয়োজন। টাকার অভাবের জন্য এই প্রশিক্ষণটা দিতে পারছিল না। আমি তাকে বলছিলাম যে মেয়েদের সেফটির জন্য বা কারাতে শেখার জন্য তোমার যতরকম সহযোগিতা লাগবে আমি তোমাকে সহযোগিতা দিব।

ইবির এ প্রকৌশলী আরও বলেন, আগে আমি অফিসে শিক্ষার্থীদের বই উপহার দিতাম। সবাই আমার রুমে আসায় বেশি মানুষ হয়ে যায়। তাই আমি ক্যাম্পাসের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোকে ঘোষণা দিয়েছি যে যারা বিসিএস বা চাকরির পড়াশোনার প্রস্তুতি নিচ্ছে তারা যত কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স চাইবে আমি তাদের সদস্যের তা উপহার দিব।

পাশাপাশি গরীব ছেলেমেয়ে যদি বিসিএস লিখিত পরীক্ষায় চান্স পায়, অর্থের অভাবে রিটেনের জন্য বই কিনতে না পারে তাহলে সমস্ত বই কিনে দেওয়াত দায়িত্বও আমার প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে নেওয়া হবে। পাশাপাশি শুধু এই বিশ্ববিদ্যালয় না, আমি আরও ১৮-১৯ টা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন সংগঠনের মাধ্যমে সহযোগিতা করে থাকি।

আমার একটা বড় কাজ এ যাবৎ অন্তত ১২ লক্ষ গাছ লাগানো। এ বছর ১৮ টা বিশ্ববিদ্যালয় যারা আমার সাথে কাজ করে তাদের সবাইকে আমি গাছ উপহার দিব। কেননা আমাদের সবারই গাছ লাগানো উচিত। তারা একটা করে স্টল দিবে যেখান থেকে বিনামূল্যে গাছ উপহার দেওয়া হবে। বৃক্ষ রোপণের মাধ্যমে পরিবেশ ভালো রাখা যাবে, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা হবে।

ইবি প্রতিনিধি