দুলাভাইয়ের কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় বিপাকে পপি, পাল্টা অভিযোগ এলাকাবাসীর

 তরিকুল ইসলাম    ২০ নভেম্বার, ২০২৩ ১৭:০৫:০০নিউজটি দেখা হয়েছে মোট 76 বার

পপি তারা, মেহেরপুর সদর উপজেলার পিরোজপুর গ্রামের তোফাজ্জল হকের মেয়ে। দশ বছর আগে একই উপজেলার গোপালপুর গ্রামের ইংরেজ আলীর ছেলে সাইফুল ইসলামের সাথে বিয়ে হয় তার। জীবিকার তাগিদে পপি তারার স্বামী সাইফুল ইসলাম এক বছর আগে সিঙ্গাপুরে যান। স্বামীর সিঙ্গাপুর যাওয়ার পর থেকেই শ্বশুর-শাশুড়ি ও দুলাভাইয়ের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে পড়ে পপি তারা।

পপি তারাকে বিভিন্ন সময় কৌশলে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল তার দুলাভাই। আর সেই কু প্রস্তাবে রাজি না হওয়াই কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে পপি তারার জীবন।

শুধু তার দুলাভাই নয় সহ্য করতে হত তার শশুর-শাশুড়িরও নির্যাতন। গত কয়েক মাস আগে অত্যাচার করে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে পপি তারাকে বাপের বাড়ি পাঠিয়ে দেয় তার শশুর শাশুড়ি।

দীর্ঘ দিন পর রবিবার(১৯ নভেম্বর) স্বামীর বাড়িতে আসলে শ্বশুর শাশুড়ি ও চাচাতো শ্বশুররা পিটিয়ে মারাত্মক আহত করে পপি তারাকে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন মেহেরপুর সদর থানার উপ পরিদর্শক এসআই প্রলয়। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাকে উদ্ধার করে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

অনেকটা কান্না বিজরিত কন্ঠে পপিতারা জানান, সাইফুলের বোন বর্তমানে সন্তানসম্ভবা, আমরা পাশাপাশি ঘরেই থাকতাম, তাই দুলাভাই আধারের দরজা ঝাকিয়ে আমাকে খারাপ প্রস্তাব দিতো।

আরও পড়ুন: মেহেরপুরে গাঁজাসহ আটক ১...

এদিকে নিজের মেয়ের এমন পরিস্থিতি দেখে হতভম্ব পপির মা। জানিয়েছেন বুকের মধ্যে চেপে রাখা কষ্টর কথা। বলেছেন বিয়ের পর থেকে জামাইকে অনেক টাকা পয়সা দিয়ে প্রবাসে পাঠিয়েছি। মা- বাবা ও বোনের স্বামীর কথা শুনে মেয়েকে এখন নিতে চাচ্ছে না জামাই।

জামাইয়ের বাড়ি তৈরির জন্য ১৮ লক্ষ টাকা দেয়া হয়েছে। বর্তমানে সাইফুল তার বোনের স্বামীকে দিয়ে নাতনির উপর নির্যাতন করে এমনটাই দাবি করেছেন পপি তারা দাদি।

তবে এদিকে এলাকাবাসীর মন্তব্য একদমই ভিন্ন। এলাকাবাসীরা জানান পপি তারার ছিলো পর পুরুষের সাথে সম্পর্ক।

সমস্যার সমাধানের জন্য একাধিকবার ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে সালিশ মীমাংসার চেষ্টা করা হলেও সমাধান মেলেনি। এদিকে ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান জানান, পপি তারা পরকীয়ার সাথে লিপ্ত ছিল। দুই পক্ষকে নোটিশ করে আলোচনা সাপেক্ষে আবারো সমস্যা সমাধানের চেষ্ঠা করবো।

তরিকুল ইসলাম