মেহেরপুরে স্কুলের বিল্ডিং বিক্রয়ের অভিযোগ সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে

 তরিকুল ইসলাম    ১ মে, ২০২৪ ১৯:১৬:০০নিউজটি দেখা হয়েছে মোট 14 বার

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলা তেঁতুলবাড়িয়া ইসলামিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের একতলা ও একটি দুতলা বিল্ডিং ভেঙে বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মামুন ও প্রধান শিক্ষক আনিসুজ্জামানের বিরুদ্ধে। বিল্ডিং ভাঙার পরপরই রাতেই ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকের লোকজন মালামাল গুলো সরিয়ে নেয় এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে এলাকাবাসী।

যানা গেছে, ১৯৮৩ সালে তেতুলবাড়িয়া ইসলামিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। দীর্ঘদিনের বিদ্যালয়টিতে নতুন বিল্ডিং সংযুক্ত না হওয়ায় একপর্যায়ে এলাকাবাসীরা নিজের অর্থায়নে টিনশীট ও ছাদের বিল্ডিং নির্মাণ করেন। পরে ২০১৬ সালের সরকারিভাবে একটি দোতলা বিশিষ্ট বিল্ডিং সরকারিভাবে স্থাপন করা হয়। বর্তমানে ওই বিদ্যালয়ে প্রায় ১২০০ ছাত্রছাত্রী লেখাপড়া করছে।

গত ৫মার্চ-২০২৪ তারিখে বিদ্যালয়ের দুতলা ও একতলা বিল্ডিংটি নিলামের জন্য এলাকায় মাইকিং করা হয়। মাইকিং করার পরেও প্রধান শিক্ষক, ম্যানেজিং, উপজেলা নির্বাহী অফিসারের জোকসাজসে নিলাম না করে রাতারাতি বিল্ডিং ভেঙ্গে ফেলা হয়। তবে এলাকাবাসী বলছে ওই দুটি বিল্ডিং এর আনুমানিক মূল্য ১০ থেকে ১২ লাখ টাকা।

রাতারাতি ভেঙে ফেলে ওই বিল্ডিংটি মাত্র সত্তর হাজার টাকায় বিক্রি করে দেন প্রধান শিক্ষক ও সভাপতি। এ নিয়ে ক্ষোভ এলাকাবাসীর।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও জেলা প্রশাসক মহোদয়ের সমন্বয়ে আলোচনা করে বিল্ডিং ভাঙ্গা হয়েছে।

তবে কোন প্রকার টেন্ডার করা হয়নি বলে জানান তেঁতুলবাড়িয়া ইসলামিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনিসুজ্জামান।

ইউএনও স্যারের সাথে কথা বলে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সিদ্ধান্তেই বিল্ডিং ভাঙ্গা হয়েছে বলে দাবি করেন তেঁতুলবাড়িয়া ইসলামিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মামুন।

মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কোন ভবন ভাঙতে হলে অবশ্য টেন্ডারের মাধ্যমে ভাঙতে হবে ম্যানেজিং কমিটির সিদ্ধান্তে ভাঙা যাবে না বলে জানান মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ হোসনে মোবারক।

তবে এ বিষয়েলিখিত অভিযোগের কপি হাতে পাওয়ার সত্যতা স্বীকার করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার। সরকারি কোনো প্রতিষ্ঠান টেন্ডার ছাড়া বিক্রি করার সুযোগ নেই। লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান মেহেরপুর জেলা প্রশাসক মোঃ শামিম হাসান।

তরিকুল ইসলাম