ইবিতে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস পালিত

  ইবি প্রতিনিধি    ১৭ মার্চ, ২০২৪ ১৫:৩৩:০০নিউজটি দেখা হয়েছে মোট 10 বার

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস-২০২৪ পালিত হয়েছে।

আজ রবিবার (১৭ মার্চ) সকাল দশটার সময় এ দিবসটি উপলক্ষ্যে প্রশাসন ভবন চত্বর থেকে উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালামের নেতৃত্বে এক আনন্দ র্যালি বের হয়। র‌্যালিটি ক্যাম্পাসের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে “মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব” ম্যুরাল চত্বরে গিয়ে শেষ হয়।

র‌্যালিটি শেষে “মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব ম্যুরালে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোঃ আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া ।

এরপর পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন অনুষদ, বিভাগ, হল, সকল পর্যায়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী, ছাত্র-ছাত্রী, বিভিন্ন সমিতি, পরিষদ ও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার্স ইউনিটিসহ অন্যান্য সংগঠন শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন।


শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন শেষে কমিটির আহবায়ক অধ্যাপক ড. বাকী বিল্লাহ'র সভাপতিত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম। আলোচনা সভা শেষে চিত্রাঙ্কন, রচনা ও ভাষণ প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।

আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোঃ আলমগীর হোসেন ভূইয়া, স্বাগত বক্তা হিসেবে রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এইচ এম আলী হাসান প্রমুখ।

বিশেষ অতিথির উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান বলেন, শিশু দিবসে চিত্রাঙ্কন, বক্তব্য ও রচনা প্রতিযোগিতা করা হচ্ছে যাতে চিত্রাঙ্কনের মাধ্যমে আজকের শিশুরা জানতে পারবে বঙ্গবন্ধু শিশুকালে কেমন ছিলেন, বক্তব্য ও রচনার মাধ্যমে জানতে পারবে কেন আমরা উর্দুতে কথা না বলে বাংলায় কথা বলি, কেন আমরা বাংলাদেশ ও বাঙালি হিসেবে পরিচয় দিতে পারি এবং কেন আজকের দিনটিকে শিশু দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।

আমরা যদি একাডেমিক পড়াশোনার পাশাপাশি দেশের ইতিহাস সম্পর্কেও পড়াশোনা করি তবে ইতিহাস সম্পর্কে জানতে পারবো মেধা ও জ্ঞানসমৃদ্ধ হবে, দেশ ও জাতি সম্পর্কে জানতে পারবে।

আরও পড়ুন: টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা...

এসময় উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, ১৯২০ সালে বিধাতা হয়তো রাতের অন্ধকারে এই মানুষটার জন্ম দিয়েই বাংলাদেশকে আলোকিত করতে চেয়েছিলেন। মাত্র ৫৫ বছরের জীবনে বঙ্গবন্ধু তার অর্জনের স্বর্ণ শিখড়ে পৌঁছেছেন। একটা জাতিকে যুদ্ধের মাঝ দিয়ে জন্ম দিয়ে, ধ্বংস থেকে টেনে তুলে আগামী ভবিষ্যতে কোন দিকে হাঁটবে তা বঙ্গবন্ধুর চিন্তার বাইরে আমরা আজ পর্যন্তও নতুন করে নির্ধারণ করতে পারি নাই। আজকের ডিজিটাল বাংলাদেশ, স্মার্ট বাংলাদেশ যেটাই বলি সব ই জাতির জনকের চিন্তার ফসল।

তিনি আরও বলেন, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় দিবস সমূহ যেভাবে জাকজমকপূর্ণ ভাবে উদযাপন করা হয় অন্য কোথাও সেভাবে হয় না। বঙ্গবন্ধুকে চেনা, বঙ্গবন্ধুকে পড়া জানা বোঝা ও চর্চার এই উদ্যোগ গুলোর সাথে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় সব সময় থাকবে বলে আমরা অঙ্গীকার করছি। পাশাপাশি বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় দিবস উদযাপনে অংশগ্রহণের হার যেন আরো বৃদ্ধি পায়, আয়োজকদের সেদিকে সচেষ্ট থাকার আহবান জানাচ্ছি।

ইবি প্রতিনিধি