খাগড়াছড়িতে ১২০ টাকায় কনস্টেবল পদে নিয়োগ পেলেন ১৫ জন

 মোঃ আনোয়ার হোসেন জীবন    ১৪ মার্চ, ২০২৪ ১৯:২১:০০নিউজটি দেখা হয়েছে মোট 8 বার

খাগড়াছড়িতে ১২০টাকায় পুলিশ কনস্টেবল পদে ২নারীসহ মোট ১৫ জন চাকরি পেয়েছেন। শুধু মেধা ও যোগ্যতায় পুলিশ কনস্টেবল পদে চাকরি হওয়ায়; ১৫ জন নব্য পুলিশ সদস্যের অভিভাবককে ফুল দিয়ে বরণ করেন পুলিশ সুপার মুক্তা ধর।

কোনো প্রকার সুপারিশ কিংবা ঘুষ বাণিজ্য ছাড়া, কেবল শারীরিকভাবে ফিটনেস, যোগ্যতা ও মেধার ভিত্তিতে মাত্র ১২০টাকায় পুলিশ কনস্টেবল পদে চাকরি পেলেন ২নারীসহ মোট ১৫ জন। তাদের অভিভাবকেরা আবেগে-আনন্দে অশ্রু ফেলছেন। উত্তীর্ণদের মধ্যে প্রায় হতদরিদ্র, দিনমজুর এবং কৃষক পরিবারের সন্তান।

আজ বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) সকাল ১১টার সময় পুলিশ লাইন্স ড্রিলশেডে চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ প্রার্থী এবং তাদের অভিভাবকদের ফুল দিয়ে বরণ ও শুভেচ্ছা জানান পুলিশ সুপার মুক্তা ধর।

শুভেচ্ছা বিনিময়কালে পুলিশ সুপার মুক্তা ধর বলেন, শারীরিক ফিটনেস, যোগ্যতা ও মেধার ভিত্তিতে আপনারা সকলে আজ এই জায়গায়। সততা ও কর্মনিষ্ঠার মাধ্যমে বাংলাদেশ পুলিশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হবে, গড়ে উঠবে স্মার্ট বাংলাদেশ। কয়েকজন প্রার্থীর অভিভাবকেরা বলেন, আমরা কখনো কল্পনা করিনি যে, টাকা ছাড়া আমার সন্তান পুলিশের চাকরি পাবে।


গতকাল চাকরি পাওয়ার কথা টা আমার সন্তান ঘরে এসে বলার পরও তেমন বিশ্বাস করতে পারিনি। আমার ছেলে নিজের মেধায়, যোগ্যতায় চাকরি পেয়েছে, এটা আমাদের মত হতদরিদ্র পরিবারের জন্য অনেক পাওয়া। মাত্র ১২০টাকায় আমার ছেলে পুলিশে চাকরি পেয়েছে এমন সংবাদ শুনে আমরা আনন্দে অশ্রু ধরে রাখতে পারেনি। খাগড়াছড়ির কৃতজ্ঞতা পুলিশ সুপার মুক্তা ধরের প্রতি অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।

আরও পড়ুন: ডিআইইউ'তে সাংবাদিক বহিষ্কার মুক্ত সাংবাদিকতা চর্চার পরিপন্থী: ইবি রিপোর্টার্স ইউনিটি...

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে নির্বাচিত কয়েকজন প্রার্থী আনন্দে আপ্লুত হয়ে কেঁদে ফেলেন। অনেক জনকে মুখ লুকিয়ে আনন্দে অশ্রু ফেলতে দেখা যায়। কারণ এখনো তারা বিশ্বাস করতে পারছেন না যে, ১২০ টাকায় পুলিশে চাকরি পেয়েছেন। তারা জেলা পুলিশ সুপার মুক্তা ধরের এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাচ্ছেন।

জানা যায়, খাগড়াছড়ির খাগড়াপুরস্থ পুলিশ লাইন্সের ড্রিল শেডে আয়োজিত এ “ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি)কনস্টেবল” পদে নিয়োগ দেয়। মৌখিক পরীক্ষায় পুরুষ প্রার্থী ছিলেন ৪৯ জন এবং নারী ছিলেন ৪ জন। তাদের মধ্যে থেকে ১৫জন উত্তীর্ণ হয়।

এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ জসীম উদ্দিন, সহকারী পুলিশ সুপার সৈয়দ মুমিদ রায়হান, সদর থানার ট্রাফিক ইন্সপেক্টর সুপ্রিয় দেবসহ অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

মোঃ আনোয়ার হোসেন জীবন