১৯ দিনের এতিম শিশুর বাড়িতে ঈদ উপহার নিয়ে গেলেন ইউএনও

 নিজস্ব প্রতিবেদক    ৭ এপ্রিল, ২০২৪ ১৪:২৭:০০নিউজটি দেখা হয়েছে মোট 10 বার

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলা শহরের একটি প্রাইভেট হাসপাতালে গত (১৮ মার্চ) রোববার সকালে উপজেলার দেবীপুর গ্রামের সেলিম রেজা ও পান্না খাতুন দম্পতির কোল জুড়ে আসে একটি কন্যা সন্তান। সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর পরিবারের সবাই ছিল আনন্দে আত্মহারা।

কিন্তু সেই আনন্দ বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। সকালে সিজার করে সন্তান হওয়ার পর সন্ধ্যায় মারা যায় মা পান্না খাতুন। পরিবারে নেমে আসে শোকের ছায়া।

মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়েন পান্না খাতুনের স্বামী সেলিম রেজাসহ পরিবারের লোকজন। একাধিক গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর গাংনীর সেই হাসিনা প্রাইভেট হাসপাতাল মালিকের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয় প্রশাসন।

শনিবার (৬ এপ্রিল) মা হারা ১৯ দিনের নবজাতক জান্নাত ও তার পরিবারের জন্য ঈদ উপহার নিয়ে যায় গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) প্রীতম সাহা।


পান্না খাতুনের স্বামী সেলিম রেজা বলেন, আমার মা মরা শিশু জান্নাতকে নিয়ে যে কি কষ্টে আছি তা বলে বোঝানো সম্ভব না। মা ছাড়া সন্তান লালন পালন করার বেদনার যে কি কষ্ট তা হাড়ে হাড়ে বুঝতে পারছি। এখন শিশু জান্নাতকে কোটার দুধ কিনে খাওয়াতে হচ্ছে।

আপনারা সবাই আমার দুই এতিম সন্তানের জন্য দোয়া করবেন আমি যেন তাদেরকে সঠিকভাবে লালন পালন করতে পারি।

আরও পড়ুন: গাংনীতে ৪৩ হাজার ৬৫জন পেল প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার...

বামন্দী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ওবায়দুর রহমান কমল বলেন, আমি যতটুকু পেরেছি তাকে আর্থিক ভাবে সহযোগিতা করেছি।

গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) প্রীতম সাহা বলেন, শিশু জান্নাতের দিকে তাকালে বুকটা কষ্টে ফেটে যাচ্ছে। মা ছাড়া সন্তান বড় করা যে কি কষ্ট তা বলে বোঝানো অসম্ভব। হাজার চেষ্টা করলেও তার মাকে ফিরিয়ে দিতে আমরা পারব না কিন্তু তার দেখা শোনার জন্য সার্বিক সহযোগিতা করবো।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেরআরএমও ডা. মারুফ, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা নিরঞ্জন চক্রবর্তী, বামন্দী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ওবায়দুর রহমান কমলসহ অনেকেই।

নিজস্ব প্রতিবেদক