পাগলী ও সন্তান ফিরে পেল আপন ঠিকানা

 তরিকুল ইসলাম    ৮ নভেম্বার, ২০২৩ ১৮:১৩:০০নিউজটি দেখা হয়েছে মোট 16 বার

পরিচয় মিলেছে সন্তান প্রসব করা পাগলী জোসনার। তার প্রকৃত নাম শরিফা খাতুন। নেত্রকোনা জেলার মদন উপজেলার কুলিয়াটি গ্রামের মৃত হান্নান মিয়ার মেয়ে শরিফা। গত ৬ অক্টোবর বিভিন্ন গনমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর বিষয়টি নজরে আসে শরিফার পরিবারের। দীর্ঘ দেড় বছর আগে হারিয়ে যাওয়া শরিফা খাতুনের সন্ধান পেয়ে দেরি না করে তাৎক্ষণিক তার পরিবারের লোকজন ছুটে আসে মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার দেবীপুর গ্রামে।

পাগলী শরিফাকে এভাবে ফিরে পাবেন তা কখোনোই ভাবেন নি তার পরিবার। তাই তো ছুটে এসেছেন দেবীপুরের কৃষক মহাসীন আলীর বাড়িতে। পরিবারের লোকজন বলেছেন অনেক দিন পর পাগলীকে ফিরে পেয়ে আমরা আনান্দিত ও মহাসীন আলীর প্রতি চির কৃতজ্ঞ।

পাগলী শরিফার ঘটনাটি স্থানীয় সমাজ সেবা অধিদপ্তর ও উপজেলা প্রশাসন অবগত ছিলেন। কথা ছিলো পাগলী ও তার কন্যা সন্তানটিকে আদালতের মাধ্যমে ভবঘুরে পুনর্বাসন কেন্দ্রে পেরণ করা হবে। তবে পরিচয় মেলার কারণে আজ বুধবার সকালে শরিফার আত্মীয় স্বজনদের পরিচয় সনাক্ত ও নিশ্চিত করে উপজেলা প্রশাসন পাগলীটিকে পরিবারের নিকট হস্তান্তর করেন।


দীর্ঘ দেড় বছর পর শরিফাকে ফিরে পেয় একদিকে যেমন আনন্দের জোয়ারে ভাসছে তার পরবিারের লোকজন অন্যদিকে কৃষক মহাসীন আলী ও তার স্ত্রীর চোখ ছিলো অশ্রুসিদ্ধ। কান্না বিজড়িত কণ্ঠে প্রকাশ করে বলেছেন, গেল এক মাস নিজের সন্তানের মতো করে তাদেরকে দেখভাল করেছি। কোন ত্রটি রাখেননি তাদের প্রতি। বাড়িটি ছিল আনন্দে। অভাবের সংসারেও ছিল বেশ হাসি খুশি। পাগলীকে বিদায় জানাতে কষ্ট হলেও তার পরিবারের কাছে দিতে পারছেন এটাই বড় শান্তনা।

আরও পড়ুন: পাগলী ও সদ্যজাত সন্তানকে নিয়ে কিংকর্তব্যবিমূঢ় মহাসীন আলী...

শরিফাকে হস্তান্তরের সময় গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রিতম সাহা বলেন, আমরা ইতিমধ্যে শরিফার পরিচয় সনাক্ত ও নিশ্চিত করতে পরেছি, আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে তাকে পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হবে।

সময় সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাদির হোসেন শামীম, উপজেলা সমাজ সেবা অফিসার আরশাদ আলী সহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন।

তরিকুল ইসলাম