প্রত্যয় প্রত্যাহারের দাবীতে ইবি শিক্ষকদের কর্মবিরতি চলছে

 ইবি প্রতিনিধি    ১৪ জুলাই, ২০২৪ ১৭:৪২:০০নিউজটি দেখা হয়েছে মোট 12 বার

অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারিকৃত পেনশন সংক্রান্ত বৈষম্যমূলক সর্বজনীন পেনশন 'প্রত্যয়' স্কিমের প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহারের দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) শিক্ষক সমিতির ডাকে চতুর্দশ দিনের মতো সর্বাত্মক কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি পালিত হয়েছে।

আজ রবিবার (১৪ জুলাই) বেলা ১২ টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদ ভবনের নীচতলায় শিক্ষক সমিতির কার্যালয়ের সামনে এই অবস্থান কর্মসূচি পালিত হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন ইবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মামুনুর রহমান, প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদাৎ হোসেন আজাদ, শাপলা ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক ড. পরেশ চন্দ্র বর্মন, ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. বাকী বিল্লাহ বিকুল, বঙ্গবন্ধু পরিষদের আহবায়ক অধ্যাপক ড. মাহবুবুল আরফিনসহসহ বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগীয় সভাপতি ও হলের প্রভোস্টবৃন্দ।

বিবিএ অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. শেলিনা নাসরীন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী কারোর ই মন ভালো নেই। অচলাবস্থা নিরসনে আলোচনা যে শুরু হয়েছে এটা ভালো দিক। তবে আমরা দেখেছি যে প্রত্যয়ে আমাদের কোন ইতিবাচক দিক নেই, আমাদের নীচে নামানো হচ্ছে। সাধারণত প্রাপ্যতার চেয়ে কম পেলে আন্দোলন হয় কিন্তু আমরা যা পেতাম সেটা রক্ষায় আন্দোলনে থাকতে হচ্ছে। প্রত্যয় স্কিম সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাহার করা হয়েছে এরকম বিজ্ঞপ্তি পাওয়ার পড়েই আমাদের অন্য বিষয়ে ভাবা উচিত।

শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে যে আলোচনা শুরু হয়েছে তাকে আমরা স্বাগত জানাই। তবে এই আলোচনার নামে যদি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের ভুল ম্যাসেজ দিয়ে আন্দোলন ব্যর্থ করার কৌশল অবলম্বন করা হয় তাহলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমাজ দাঁতভাঙ্গা জবাব দিবে। ফেডারেশনের দুই একজন মুখ ফসকে শব্দ এদিক ওদিক বলে ফেলতে পারে এতে আমাদের হতাশ হওয়ার কিছু নেই। আমাদের আন্দোলন চলছে, চলবে।

তিনি আরো বলেন, আমাদের দাবী তিনটি দাবি হলেও প্রথমে শুরু করেছিলাম বৈষম্যমূলক পেনশন স্কিম দিয়ে। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের এই পেনশন স্কিম থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে এই ঘোষণাটি সরকারের পক্ষ থেকে লিখিতভাবে আসতে হবে।

তারপর ফেডারেশন বসে আলোচনা করবে বাকি দুই দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলনে কতটুকু ছাড় দেয়া যায়। তবে যে তিনটি যৌক্তিক দাবি নিয়ে আন্দোলন করছি সেগুলো মেনে না নেওয়া পর্যন্ত ফেডারেশন আন্দোলন চালিয়ে যাবে।

ইবি প্রতিনিধি