গাংনীতে প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই চলছে অবৈধ ইটভাটা

 তরিকুল ইসলাম    ১৭ মার্চ, ২০২৪ ১১:৫৪:০০নিউজটি দেখা হয়েছে মোট 13 বার

হাইকোর্টের হুঁশিয়ার ও সতর্কীকরণের মধ্যেও বিষ ছড়াচ্ছে অবৈধ ইটভাটা। কোনো ভাবেই ঠেকানো যাচ্ছেনা অবৈধ ইটভাটার পরিবেশ দূষণের মহা উৎসব।

এক দিকে যেমন বন উজার করে কাঠ দিয়ে পোড়ানো হচ্ছে ইট, তেমনি অন্য দিকে ফসলি জমি থেকে মাটি কিনে অবাধে চলছে সবুজে ঘেরা মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার প্রায় অর্ধশতকের বেশি অবৈধ ইটভাটা। যার একটিরও নেই পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র।

একরের পর একর কৃষি জমি থেকে মাটি উত্তোলন করে ইট ভাটায় বিক্রয়রে কারণে নষ্ট হচ্ছে সাধারণ কৃষকের ফসলি জমি, পাশাপাশি কয়লায় বিপরীতে কাঠ দিয়ে ইট পোড়ানোর ফলে দূষিত হচ্ছে পরিবেশ এমনটাই জানিয়েছেন এলাকাবাসী।


এতো অনিয়মের তোয়াক্কা করে কিভাবে নির্বীকারে চলছে এই সকল ইট ভাটা তা আমাদের জানা না থাকলেও খোদ ভাটা মালিকেরা জানিয়েছেন প্রসাশনকে ম্যানেজ করে চালাতে হচ্ছে ভাটা। আর এ জন্য কর্তৃপক্ষকে দিতে হয় ১ থেকে দেড় লাখ টাকা।

আরও পড়ুন: মেহেরপুরের সিনিয়র সাংবাদিক মহাসিন আলী আর নেই...

এদিকে অসাধু ব্যবসায়ীদের বাণিজ্য বুদ্ধির স্বীকার হয়ে নষ্ট হচ্ছে আমাদের পরিবেশ, এছাড়া কৃষি জমিগুলো দিনের পর দিন নষ্ট করে চলেছে এই ইট ভাটায় মাটি সরবারহ করার নামে, এমনটাই জানিয়েছেন বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কারপ্রাপ্ত লেখক রফিকুর রশীদ।


ভাটার কালো ধোয়ার কারণে শ্বাসকষ্ট, হার্ট এটাক সহ ক্যান্সারের মত কঠিন রোগও হতে পারে বলে জানান গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আর এম ও ডা. আব্দুল্লাহ আল মারুফ।


অবৈধ ইটভাটা বন্ধে অভিযান চলমান রয়েছে, এছাড়া কোথাও যদি কৃষি জমি নষ্ট করে মাটি বিক্রয় এবং কাঠ দিয়ে ইট পোড়ান হয় তাহলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রীতম সাহা।

এদিকে প্রশাসনের নাকের ডগা দিয়ে কৃষি জমি থেকে প্রতিনিয়ত মাটি ও বালু উত্তোজন করে ভাটাই বিক্রয় করা হচ্ছে। এছাড়া কয়লার পরিবর্তে কাঠ দিয়ে পোড়ানো হয়েছে ইট। যা চলমান রয়েছে। তাহলে প্রশাসনে চলমান অভিযানটা কথায় প্রশ্ন রইলো আপনাদের নিকট।

তরিকুল ইসলাম