গাংনীতে অবৈধভাবে জমি দখল ও সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদের সংবাদ

 তরিকুল ইসলাম    ৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪ ১৮:২৩:০০নিউজটি দেখা হয়েছে মোট 27 বার

মেহেরপুরের গাংনীতে যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃত আতাউল গণীর পুত্র আনোয়ার হোসেন সানি ও তার পরিবারের উপর অবৈধভাবে জমি দখল ও সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ সোমবার(০৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে উপজেলার তেঁতুলবাড়িয়া গ্রামের হাজীপাড়ায় এর সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে আনোয়ার হোসেন সানি বলেন, গত ০৩-০২-২৪ তারিখে সরকারি সার্বিয়ার ও গ্রামের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গরা জমি মাপ যোগ করে আমাদের দলিল মাফিক ১৫ শতক জমি বুঝিয়ে দেন। তারা গ্রামের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এর কথা কর্ণপাত না করেই জোরপূর্বক জমি দখল করতে যায়।

এ সময় আমাদের সাথে কথা কাটাকাটি হলে মৃত ছামদান মন্ডলের ছেলে মতিয়ার রহমান (৫৫) ও মতিয়ার রহমানের স্ত্রী মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের নার্স আঞ্জুমান আরা আনজু (৫০) এর নেতৃত্বে ১০-১২ জন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আতর্কিত হামলা চালায়।

তাদের হামলায় আমিসহ আমার স্ত্রী ইসরাত জাহান (২৪) মারাত্মক আহত হই। স্ত্রীর কানে থাকা ১০ আনা ওজনের স্বর্ণের দুলও তারা ছিনিয়ে নেন।

তিনি আরো জানান, আমার নানার দেওয়া ১৫ শতক সম্পত্তি রাস্তা পজিশন হওয়ায় তারা জোরপূর্বক দখল নিতে চাই। এ নিয়ে তাদের সাথে প্রায় ১ বছর বিভিন্নভাবে ঝামেলা হচ্ছে। প্রায় প্রতিদিনই তারা মুঠোফোনে আমাদের প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছে জমি ছেড়ে দেওয়ার জন্য। আমরা বাধ্য হয়ে গাংনী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ জানিয়েছি।


স্থানীয় মুদি ব্যবসায়ী আনিসুর রহমান জানান, আনোয়ার হোসেন সানির নানা তার মাকে ১৫ শতক জমি লিখে দিয়ে গেছেন। তার খালা ও তার লোকজন মারধর করে জোরপূর্বক জমি দখলের চেষ্টা করে।

এ বিষয়ে মতিয়ার রহমান জানান, আনোয়ার হোসেন সানির মামা এলাহী বক্স এর কাছ থেকে জমিটা ক্রয় করি। সেই জমি দখল নিতে গেলে একটু ঝামেলা হয় এতে আমরা কাউকে আঘাত করিনি।

আরও পড়ুন: উঁচু দালানের কার্নিশে কে এই রহস্যময়ী নারী?...

আঞ্জুমান আরা আনজু জানান, আমার বোন আনোয়ারা খাতুন আমার বাবার কাছ থেকে জোরপূর্বক ১৫ শতক জমি লিখে নিয়েছিলেন। সেই জমি আমার ভাই মৃত এলাহী বক্স আমাদের কাছে বিক্রি করেছেন। সেই জমি দখল করতে গেলে একটু ধাক্কাধাক্কি হয়েছে। আমরা কাউকে ধাক্কা দেয়নি বরং আনোয়ার হোসেন সানি ও তার লোকজন আমাদের উপর হামলা চালায় এতে আমাদের বেশ কয়েকজন আহত হয়।

সার্ভেয়ার আশরাফুল ইসলাম জানান, বেশ কয়েকবার জমি মাপ যোগ হওয়ার পরেও মতিয়ার রহমান ও আঞ্জুমান আরা আনজু লোকজন জমির মাপ মেনে নিতে চাইনি। সেই সময় দু'পক্ষের মধ্যে একটু হাতাহাতি হয়।

তেতুলবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য হক সেদ আলি জানান, স্থানীয়ভাবে বসে মীমাংসার চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু এ বিষয়ে মতিয়ার রহমান ও আঞ্জুমান আরা আনজু মীমাংসা মেনে নেননি।

তাই সমাধান করা সম্ভব হয়নি।তেঁতুলবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাজমুল হুদা বিশ্বাস জানান, জমি নিয়ে মারামারির ঘটনা শুনেছি, তবে এ বিষয়ে ইউনিয়ন পরিষদে কেউ কোন প্রকার অভিযোগ দেননি। অভিযোগ দিলে দুই পক্ষ সাথে নিয়ে সমস্যার সমাধান করা হবে বলে জানান।

গাংনী থানার ওসি তাজুল ইসলাম জানান, জমি নিয়ে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ হয়েছে। তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে।



তরিকুল ইসলাম