কিশোরগঞ্জে এখনও জনপ্রিয়, হারিয়ে যাওয়া জারিগান

 জাহিদ হাসান মুক্তার, কিশোরগঞ্জ    ১৯ জানুয়ারী, ২০২৪ ২০:২৬:০০নিউজটি দেখা হয়েছে মোট 35 বার

জারি ফারসি শব্দ। যার অর্থ শোক,বিলাপ বা ক্রন্দন। কারবালার শোকাবহ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মহররম মাসের প্রথম দিকে নৃত্যগীত সহকারে যে কাহিনী বর্ণনা করা হয় তা জারিগান নামে পরিচিত।

এছাড়া যেকোন ধর্মীয় বা সামাজিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে রচিত গানকেও জারিগান বলা হয়। কোথাও কোথাও আবার কবিগানকেও জারিগান বলা হয়ে থাকে।

সতেরো শতকে বাংলায় এই জারি গানের প্রচলন শুরু হয়। এরপর সারা দেশে বিভিন্ন আঙ্গিকে তা ছড়িয়ে পড়ে।

বর্তমানে গ্রামবাংলার ঐতিহ্য সম্বলিত জারিগানের প্রচলন কমে গেলেও একেবারে বিলুপ্ত হয়ে যায়নি। বেশীরভাগ শীতকালে গ্রামে-গঞ্জে এই জারিগানের আসর বসতে দেখা যায়।

তারই ধারাবাহিকতায় কিশোরগঞ্জের কটিয়াদিতে এক জারিগান প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

(১৮ জানুয়ারি) রাত ৮ টায় জেলার কটিয়াদি উপজেলার এলাকাবাসী ও যুবসমাজের উদ্যোগে পেয়ারাকান্দী গ্রামে এ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।

প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহণ করেন পাকুন্দিয়া উপজেলার কোদালিয়া গ্রামের মো. জসিম উদ্দিন এর জারি দল, পোড়াবাড়িয়া গ্রামের মো. হিরন মিয়ার জারি দল এবং চরপলাশ গ্রামের নাজমুল হাসান সুমন এর জারি দল।

অনুষ্ঠান শেষে বিচারকদের রায়ে প্রথম পুরস্কার ১ টি খাসি অর্জন করেন চরপলাশের নাজমুল হাসান সুমনের জারী দল। দ্বিতীয় পুরস্কার অর্জন করেন পোড়াবাড়িয়ার হিরন মিয়ার দল এবং তৃতীয় পুরস্কার অর্জন করেন কোদালিয়ার জসিম উদ্দিন এর জারিদল।

হাবিবুল বাশার হিমেল এর উপস্থাপনায় জারিগান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কটিয়াদি উপজেলার বনগ্রাম ইউনিয়নের বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি সাইফুল্লাহ জামান সরকার।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পুলেরঘাট বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী হারুন অর রশিদ, বিশিষ্ট সমাজ সেবক জালাল উদ্দিন, বিশিষ্ট সমাজ সেবক হাজী মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ সহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গার।

এছাড়া পেয়ারাকান্দী গ্রামসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত শত শত নারী পুরুষ এ জারিগান উপভোগ করেন।

জাহিদ হাসান মুক্তার, কিশোরগঞ্জ