জবি শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা: অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেওয়া হবে -জবি ভিসি

 জবি প্রতিনিধি    ১৬ মার্চ, ২০২৪ ০৯:২৮:০০নিউজটি দেখা হয়েছে মোট 10 বার

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) সহকারী প্রক্টর ও সহপাঠীর বিরুদ্ধে ফেসবুকে অভিযোগ পোস্ট করে এক ছাত্রী আত্মহত্যার ঘটনায় অভিযুক্তদের তদন্ত সাপেক্ষ বহিষ্কারের আশ্বাস দেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম।

গত শুক্রবার (১৫ মার্চ) দিবাগত রাত ১২টার সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকে অভিযুক্তদের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করে শিক্ষার্থীরা।

পরবর্তীতে রাত ১টা ৩০ মিনিটের দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম বলেন, ‘যারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত, সবার বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বিশ্ববিদ্যালয় একটা আইন অনুযায়ী চলে। বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী অভিযুক্ত সহকারী প্রক্টরকে সাময়িক বহিস্কার করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে তাকে বহিস্কার করা হবে। তদন্ত ছাড়া আমরা আইনের বাইরে গিয়ে এটা করতে পারি না। আমার হাতে যা আইন আছে, সে অনুযায়ী সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি এই যৌন হয়রানির ঘটনার যে অভিযোগ বা রিপোর্ট, সেটার ব্যাপারে জানতাম না। জানলে সঙ্গে সঙ্গেই ব্যবস্থা নিতাম। আমি শোনামাত্রই বর্তমান প্রক্টরকে নির্দেশ দিয়েছি। আসন্ন সিন্ডিকেটে যতোগুলো যৌন হয়রানির অভিযোগ আছে, সব নিষ্পত্তি করা হবে। বিশ্ববিদ্যালয় একটা আইনে চলে। আইনের সকল ধারা, উপধারা ব্যবহার করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

আরও পড়ুন: প্রক্টর ও সহপাঠীকে দায়ী করে জবি শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা...

জানা যায়, শুক্রবার রাত ১০টার সময় জবির আইন বিভাগের ১৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ফাইরুজ অবন্তিকা ফেসবুকে শিক্ষক ও সহপাঠীকে দায়ী করে পোস্ট দেন। এর কিছুক্ষণ পরই ওই ছাত্রী কুমিল্লার নিজ বাড়িতে গলায় ফাঁস দেন। আত্মীয় ও পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে কুমিল্লা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

ওই শিক্ষার্থীর পোস্ট করা সুইসাইড নোটে সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে হয়রানি এবং হুমকি দেওয়াসহ নানা অভিযোগ তুলেছেন। আর সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামের বিরুদ্ধে অফিসে ডেকে নিয়ে হয়রানি ও মানহানির অভিযোগ তুলেছেন। তাছাড়া ‘সেক্সুয়ালি অ্যাবিউজিভ কমেন্ট’ করার অভিযোগ তুলেছেন ওই ছাত্রী।

জবি প্রতিনিধি