‘পায়ে ধরি বললেও আমার ছেলেটাকে একটু পানি দেয়নি ওরা’

 অনলাইন ডেস্ক    ১৯ আগষ্ট, ২০২৩ ১৬:১৩:০০নিউজটি দেখা হয়েছে মোট 45 বার

রাজধানীর আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় ডেঙ্গু আক্রান্ত ওমার বিন সাইফরে মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। তার স্বজনদের দাবি, অবস্থার অবনতি হলে তাদেরকে বার বার করে অনুরোধের করার হয়েছিলো সিনিয়র কোনো ডাক্তারকে ডাকার জন্য। উল্টো তারা খারাপ ব্যবহার করেছেন আমাদের সাথে। ছেলেটাকে একটু পানিও দেয়া হয়নি।

রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতাল থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য শুক্রবার দুপুরে ডেঙ্গু আক্রান্ত ওমার বিন সাইফকে স্থানান্তর করা হয় আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালে। এ সময় তার প্লাটিলেট ছিল এক লাখ ৫৫ হাজার।

তার স্বজনরা বলেন, রাত ৯টা পর্যন্তও কোনো জটিলতা ছিল না ওমার বিন সাইফরে। কিন্তু মধ্যরাতে শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। রাতের শিফটের ডাক্তারের ভুল চিকিৎসায় সাইফ মারা যায় বলে অভিযোগ তাদের। এ ঘটনায় দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছেন তার পরিবার।

আরও পড়ুন: পাগলা মসজিদে আবারও পাওয়া গেলো ২৩ বস্তা টাকা...

সাইফের বাবা মুফতি সাইফুল ইসলাম বলেন, নার্সের কাছে জানতে চেয়েছিলাম, আমার ছেলের পালস কত আছে। মেশিনে দেখিয়েছে, ৭৯ থেকে ৮০ পর্যন্ত ওঠানামা করছে। এই অবস্থা দেখে আমার স্ত্রীকে ফোন দিয়ে আসতে বলেছি। নার্স আমার কাছ থেকে মোবাইল ফোন টান দিয়ে নিয়ে যায়। বলে ফোনটা আমার কাছে জমা দেন। সকালে নিয়ে যাবেন। এখানে ফোন ব্যবহার করা যাবে না। আমাকে ধমক দিয়ে বের করে দেয়া হয়।


সাইফের মা ফারহানা ইসলাম জানান, আইসিইউতে দেখতে গেলে খারাপ ব্যবহার করে মোবাইল কেড়ে নেয়া হয়। বার বার অনুরোধের পরও ডাকা হয়নি সিনিয়র চিকিৎসককে।


তিনি আরও বলেন, ডাক্তার আমাকে যাওয়ার সময় বলে দিয়ে গেছে, লেভেলটা বাড়ছে। তাই আর কোনো ভয় নেই। আমার ছেলের রিপোর্ট আসেনি। এর মধ্যে নার্স একটা ইনজেকশন দিয়েছে। নার্সের কাছে জানতে চেয়েছিলাম, কীসের ইনজেকশন দেয়া হয়েছে। তিনি জানান, এটা তার জানা নেই। এটা ডাক্তার জানেন। আমার ছেলে বলে, স্যার, ‘একটু পানি দেন আমাকে। আপনার পায়ে ধরি।’ কিন্তু তাকে পানি দেয়া হয়নি। পানি ছাড়া আমার ছেলেটা মারা গেল।

এদিকে দায়িত্বরত চিকিৎসকের দাবি, রোগীর চিকিৎসায় কোনো গাফিলতি ছিলো না। যদিও এ বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালের চিকিৎসক আব্দুল্লাহ আল তানিম জানান, ‘প্রেসার কম থাকায় আমাদের যা যা প্রয়োজন ছিল, সব কাজ করেছি। চিকিৎসায় কোনো ঘাটতি ছিল না আমাদের।


ওমার বিন সাইফ রাজধানীর মোহাম্মাদিয়া হাউজিংয়ে মাদ্রাসায়ে তাকরিমুল কোরআন ওয়া সুন্নাহতে ১১ পাড়ার হাফেজ ছিল বলে জানিয়েছে পরিবার।

অনলাইন ডেস্ক