ট্রলারডুবি: তিন ছেলে সহ প্রাণ হারালেন মা

 অনলাইন ডেস্ক    ৬ আগষ্ট, ২০২৩ ১৭:০৪:০০নিউজটি দেখা হয়েছে মোট 34 বার

মুন্সীগঞ্জ জেলা লৌহজং উপজেলা তালতলা-গৌরগঞ্জে খালের রসকাঠি এলাকায় শনিবার (৫ আগস্ট) রাত আটটার সময় বাল্কহেডের ধাক্কায় পিকনিকের একটি ট্রলার ডুবে মারা গেছেন আট জন এবং এ ঘটনায় এখনো নিখোঁজ রয়েছেন অন্তত ছয় জন।

নিহত আট জনের মধ্যে একই পরিবারের চার জন। তারা হলেন মোসা. এপি ও তার তিন ছেলে রাকিবুল, সাজিদু এবং শাকিবুল। নিহত এপির ভাই তাদের লাশ শানাক্ত করেন।

রুবেল সংবাদ মাধ্যমকে জানান, নিহতদের মধ্যে তার বোন এপি ও তিন ভাগনে রয়েছে। আরও তিন জনের নাম জানা গেছে। তারা হলেন পপি, মাকসুদা ও হুমায়রা।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শনিবার দুপুরের দিকে সিরাজদিখান উপজেলার লতব্দী ইউনিয়নের ৪৬ জন শিশু, নারী ও পুরুষ পদ্মা নদীতে ট্রলারে করে পিকনিকে যাচ্ছিল। তারা পিকনিক শেষে ট্রলারটি উচ্চশব্দে সাউন্ড সিস্টেম বাজিয়ে রাতে তালতলা-গৌরগঞ্জ খাল দিয়ে লতব্দী ইউনিয়নের দিকে যায়। বিপরীত দিক থেকে একটি বাল্কহেড বালু আনতে পদ্মা নদীর দিকে যায়।

আরও পড়ুন: মেহেরপুরে শেখ কামালের ৭৪তম জম্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত...

রাত আটটার সময় ট্রলারটি লৌহজংয়ের রসকাঠি এলাকায় আসে। তখন বাল্কহেডটি ওই ট্রলারের ওপর উঠিয়ে দেয়। সেই সঙ্গে সঙ্গে ট্রলারটি পানিতে তলিয়ে যায়। অধিকাংশ যাত্রী সাঁতার কেটে তীরে উঠে আসে।

রাত ১১টার সময় মুন্সিগঞ্জের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. আবু জাফর রিপন বলেন, এখন পর্যন্ত আট জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে চারজন অপ্রাপ্তবয়স্ক ও বাকি চারজন নারী।

এর আগে লৌহজং ফায়ার সার্ভিসের টিম লিডার কায়েস আহম্মেদ বলেন, শনিবার রাত ৮টার সময় আমরা ঘটনার খবর পাই। ঘটনাস্থলে আসার পর দেখি স্থানীয়রা ৪ জনের লাশ উদ্ধার করেছে। আমরা এক জনের লাশ উদ্ধার করি।

আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে লরির নিচে প্রাইভেটকার, অলৌকিকভাবে বাঁচলেন ৬ যাত্রী...

তিনি আরও বলেন, পিকনিকের ট্রলারে ৪৬ জন যাত্রী ছিলো। তাঁদের মধ্যে এখনো আট জন নিখোঁজ রয়েছেন।

রাত ১০ টার সময় লৌহজং থানার উপপরিদর্শক (এসআই) অখিল রঞ্জন সরকার বলেন, এখন পর্যন্ত আমাদের সামনে একটি নারীর লাশ রয়েছে। বাকিদের লাশ হাসপাতাল থেকে তাঁদের বাড়িতে নিয়ে গেছেন। তবে কারও পরিচয় জানা যায়নি। নিখোঁজদের উদ্ধার করার কাজ চলছে।

অনলাইন ডেস্ক