নড়াইলে শীতের পিঠার ভ্রাম্যমাণ দোকানে ক্রেতাদের ভিড়

 মোঃ সাব্বির জমাদ্দার, নড়াইল প্রতিনিধি    ২৯ জানুয়ারী, ২০২৪ ১৪:৪৭:০০নিউজটি দেখা হয়েছে মোট 21 বার

শীত পড়তেই নড়াইল শহরের বিভিন্ন রাস্তার মোড়ে মোড়ে বসেছে ভ্রাম্যমাণ পিঠার দোকান। ভ্রাম্যমাণ এসব পিঠার দোকানে পাওয়া যাচ্ছে ধোঁয়া ওঠা ভাপা, চিতই, পাটিশাপ্টাসহ নানা নামের বিভিন্ন রকমের পিঠা। পুরুষদের পাশাপাশি অনেক নারীও পিঠার দোকান নিয়ে বসেছেন।

সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত এসব পিঠার দোকানে ভিড় লেগেই থাকে। পিঠা বিক্রিতে ভালো আয়ও করছেন দোকানীরা। আর সন্ধ্যার পর থেকেই দোকানে বাড়তে শুরু করে ক্রেতার সংখ্যা৷

সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, বিকাল হতেই নড়াইল জেলা শহরসহ উপজেলা শহরের বিভিন্ন মোড়ে পিঠার দোকান মেলতে শুরু করেন দোকানীরা। সূর্য অস্ত যেতে না যেতেই তৈরী করেন নানান রকমের পিঠা। ঠান্ডায় গরম গরম পিঠা খেতে দোকানে ভিড় করেন নানান বয়সী মানুষ। কারো পছন্দ ধোঁয়া ওঠা ভাপা পিঠা, আবার কারো পছন্দ চিতই পিঠা।

আরও পড়ুন: সংসদে স্বতন্ত্রদের ভূমিকা ঠিক করে দেবেন চিফ হুইপ...

পিঠার সাথে মিলে নানান রকমের ভর্তা। পিঠার রকমভেদে ৫ থেকে শুরু করে ১০, ১৫, ২০টাকায় বিক্রি হয়ে থাকে এসব পিঠা।পুরুষদের পাশাপাশি অনেক নারীও পিঠার দোকান নিয়ে বসেছেন। ভ্রাম্যমাণ এসব পিঠার দোকান দিয়ে শীত মৌসুমে বাড়তি আয়েরও সুযোগ তৈরী হয়েছে তাদের।


এ দিকে লোহাগড়া উপজেলার লক্ষীপাশা আর এল পাশা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পিঠা বিক্রেতা রুনা বেগম জানান, প্রতিবছরই শীত মৌসুমে তিনি ভাপা, চিতই পিঠা বিক্রি করেন। মানুষ খুবই পছন্দ করেন তার পিঠা। তার পিঠা বাড়িতেও নিয়ে যান অনেকেই। তিনি ভাপা পিঠা বিক্রি করেন ৫-১০ টাকা এবং চিতই পিঠা বিক্রি করেন প্রতি খোলা ২০ টাকা।

এ থেকে যা আয় করেন তা দিয়ে সাচ্ছন্দ্যে চলে তার সংসার। এ বছর প্রতিদিন প্রায় ২ হাজার টাকার পিঠা বিক্রি করেন তিনি। দ্রব্যমূল্যের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় এ বছর লাভ একটু কম হচ্ছে৷ ক্রেতারা পিঠা খেয়ে খুবই সন্তুষ্ট বলেও জানান এ পিঠা বিক্রেতা।

মোঃ সাব্বির জমাদ্দার, নড়াইল প্রতিনিধি