মেহেরপুরের বাজারে অপরিপক্ক লিচু বিক্রি হচ্ছে

 নিজস্ব প্রতিবেদক    ৬ মে, ২০২৪ ১৩:০৬:০০নিউজটি দেখা হয়েছে মোট 31 বার

মেহেরপুরের বাজারে উঠতে শুরু করেছে রসালো ফল লিচু। তীব্র দাবদাহে লিচু ঝরে যাচ্ছে, তাই একপ্রকার বাধ্য হয়ে পরিপক্ক হওয়ার আগেই লিচু বিক্রি করে দিচ্ছে বাগান মালিকরা। ফলে লিচুর আসল স্বাদ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে ভোক্তারা।

অপরিপক্ক লিচু না খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকগণ। লিচুর গুণগতমান ঠিক রাখার জন্য আরও কয়েকদিন পর লিচু সংগ্রহের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।

কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, এ জেলায় ৮০০ হেক্টর জমিতে লিচুর বাগান রয়েছে। শুরুতে ৬০ শতাংশ গাছে মুকুল এসেছিল। এসব বাগানে, আটি লিচু, মোজাফফর বোম্বাই, চিলি বোম্বাই, আতা বোম্বাই ও চায়না-থ্রি জাতের লিচু উৎপাদন হয়ে থাকে। লাভজনক হওয়ায় এ জেলায় লিচুর আবাদ বাড়ছে।

এখানকার লিচু রাজধানী ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, বরিশালসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় যাচ্ছে।


লিচু চাষিরা বলছেন, চলতি মৌসুমে একটু দেরী করেই গাছে মুকুল এসেছিল তাও অনেক কম। প্রচন্ড তাপদাহ ও অনাবৃষ্টির কারণে গাছ থেকে ঝরে গেছে অনেক লিচু। এতে লোকসান গুনতে হচ্ছে। তাই অপরিপক্ক লিচু বিক্রি করতে হচ্ছে।

আরও পড়ুন: গাংনীতে লাউ চাষে সফল চাষিরা...

মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা.জমির মোঃ হাসিবুস সাত্তার বলেন, হাইপোগ্লাইসিন এ সাধারণত কাঁচা বা আধা পাকা অর্থাৎ পাকা নয়, এমন লিচুতে পাওয়া যায়।

এটি একটি অ্যামিনো অ্যাসিড, যা মারাত্মক বমি বমি ভাব সৃষ্টি করে। কাঁচা বা আধাপাকা লিচু খাওয়া থেকে বিরত থাকা উচিৎ। এ বিষয়ে সতর্ক থাকা প্রয়োজন। সেই সঙ্গে সচেতনতাও বাড়াতে হবে।

মেহেরপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিজয় কৃষ্ণ হালদার বলেন, লিচুর গুণগত মান ধরে রাখার জন্য আরও কয়েকদিন পর লিচু বাজারজাত করার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে কৃষকদের।

নিজস্ব প্রতিবেদক