গাংনীতে মসজিদে নামাজ পড়ানো নিয়ে সংঘর্ষে আহত-১০

 নিজস্ব প্রতিবেদক    ২৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪ ১৪:১০:০০নিউজটি দেখা হয়েছে মোট 24 বার

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার হিজলবাড়ীয়া গ্রামে নামাজ পড়া নিয়ে তর্কের জের ধরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। গত রবিবার দিবাগত রাত ৯টার সময় হিজলবাড়ীয়া গ্রামের উত্তরপাড়া জামে মসজিদে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন, হিজলবাড়ীয়া গ্রামের মুমরেজ আলীর ছেলে বাদশা মিয়া (৬০), মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে নবিছদ্দীন (৫০) ও সিরাজুল ইসলাম (৫০)। তাদের গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। ত

বে বাকিরা স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছেন। বাদশার শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে ঢাকা বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, হিজলবাড়ীয়া উত্তরপাড়া জামে মসজিদের পেশ ইমাম মুফতি মাওলানা মোহাম্মদ আজমাইন হোসেন মিলাদ মাহফিল করতে পাশের গ্রামে গিয়েছিলেন। ফলে তিনি মসজিদে নামাজ পড়ানোতে অনুপস্থিত ছিলেন। এ কারণে মুসল্লিদের মধ্যে থেকে মাহফুজ আলম নামের একজন ইমামতি করেন।

আরও পড়ুন: ইফতারের আগে ও পরের দোয়া...

নামাজ শেষে নজরুল ইসলাম নামে এক মুসল্লি বলেন, মুসল্লির ইমামতিতে নামাজ পড়ানো হয়নি। এ নিয়ে মুসল্লিদের মধ্যে দুটি পক্ষ সৃষ্টি হয়। এরপর দুই পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা সৃষ্টি হয়। এসময় উভয় পক্ষে লোক জন লাঠিসোটা নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়।

মসজিদ কমিটির সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন জানান, মসজিদের ইমাম ছুটি নিয়ে পাশের গ্রামে মিলাদ পড়াতে যাওয়ায় মাহফুজ আলম নামের এক মুসল্লিকে ইমামতির দায়িত্ব দেওয়া হয়। এখানে সমস্যা হওয়ার কথা নয়। তারপর হঠাৎ গন্ডগোল বেঁধে যায়।

গাংনী থানার (ওসি) তাজুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কেউ লিখিত অভিযোগ দেননি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নিজস্ব প্রতিবেদক