তক্ষক এতো দামি কেন? এটা কী কাজে লাগে?

 অনলাইন ডেস্ক    ১৫ অক্টোবার, ২০২৩ ১৪:৫২:০০নিউজটি দেখা হয়েছে মোট 19 বার

তক্ষক নামটি দেশের মানুষের কাছে এখন আর অচেনা নয়। টিকটিকির মতো দেখতে এক ধরনের সরিসৃপ জাতীয় প্রাণী এটি। যা সাধারণত দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং প্যাসিফিক অঞ্চলে পাওয়া যায়। তক্ষক ৩০ সে.মি বা ১২ ইঞ্চি লম্বা হয়ে থাকে। ধারণা করা হয় যে এই প্রানীটি ড্রাগন থেকে এসেছে।

প্রানীটি সাধারণত ধূসর রঙের হয়ে থাকে যার উপর লাল লাল ফোঁটা থাকে; তবে পরিবেশ অনুযায়ী তক্ষক গায়ের রঙ পরিবর্তন করতে পারে। পুরুষ তক্ষকের গায়ের রঙ স্ত্রী তক্ষকের তুলনায় উজ্জল হয়ে থাকে। একটি তক্ষকের ওজন ৪০০ গ্রাম পর্যন্ত হয়ে থাকে।

বাংলাদেশের রাঙ্গামাটি,খাগড়াছড়ি ও বান্দরবন এই ৩ পার্বত্য জেলাতে তক্ষক বেশি পাওয়া যায়।

বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, তক্ষক একটি উপকারী প্রানী। চীনা ওষুধ তৈরীতে এই প্রানী ব্যবহার করা হয়ে থাকে। ক্যান্সার এর প্রতিষেধক হিসেবে এর গুণাগুন রয়েছে বলে অনেকেই মনে করেন। তাই অনেকেরই ধারণা এই প্রানীটির মূল্য অনেক বেশি।

এছাড়া চীনারা বিশ্বাস করে তক্ষক দিয়ে তৈরি ওষুধ কিডনী ও ফুসফুসকে পুষ্ট করে। তবে মেডিকেল সাইন্স এ ধরনের ওষুধকে সমর্থন করে না।

আরও পড়ুন: বিশ্ব গ্রামীণ নারী দিবস...

তাছাড়া অনেকের ধারণা HIV ভাইরাস প্রতিরোধে তক্ষকের জিহ্বা এবং রক্ত দিয়ে এই ভাইরাস প্রতিরোধী ওষুধ তৈরী করা হয়। তবে মেডিকেল সাইন্সে এটির কোনো নির্ভরযোগ্য সত্যতা বা গবেষণা নেই, এটি শুধু লোকমুখে প্রচলিত তথ্য। তক্ষক কেনা-বেচা আন্তজার্তিকভাবে অবৈধ। বাংলাদেশেও তক্ষক কেনা-বেচা বা তক্ষক অবৈধভাবে সংরক্ষণ অপরাধ।

সংকটাপন্ন বন্য-প্রজাতির প্রানী বলে এটি খুব কম পাওয়া যায়। বিভিন্ন সিন্ডিকেটের মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, প্রতিটি ৩০০ গ্রাম ওজনের তক্ষকের দাম ২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বা ১৭ কোটি টাকারও বেশি। এছাড়া ওজন ও বয়সভেদে তক্ষকের দামও নির্ধারণ করে তারা।

তক্ষক সাধারণত আগ্রাসী মনোভাব ধারণকারী বন্যপ্রাণী। এই প্রাণী খুবই জোড়ে কামড় দিতে পারে এবং প্রচন্ড ব্যাথার সৃষ্টি করতে পারে। তবে বর্তমান সময়ে অনেকেই প্রাণীটিকে পোষ মানানোর চেষ্টা করছেন।

যেহেতু এই প্রানীটি ক্রয়-বিক্রয় অবৈধ এবং আইনগত অপরাধ, সেহেতু এটা কেনার জন্য টাকাও বিনিয়োগ করা উচিত নয়। কারণ, বাংলাদেশে এমন বহু মানুষ রয়েছে যারা লোভের বশবর্তী হয়ে তক্ষক ক্রয়ের জন্য টাকা বিনিয়োগ করে প্রতারিত হয়েছে। তাছাড়া এর কোনো নির্ভরযোগ্য বাজার নেই তাই সকলেরই এই লোভ পরিহার করা উচিত।

অনলাইন ডেস্ক