প্রত্যয় স্কিপ প্রত্যাহারের দাবী ইবি শিক্ষক সমিতির

 ইবি প্রতিনিধি    ২৬ মে, ২০২৪ ১৫:৫০:০০নিউজটি দেখা হয়েছে মোট 5 বার

অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারিকৃত সর্বজনীন পেনশন 'প্রত্যয়' স্কিমের প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার এবং প্রজ্ঞাপন থেকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মরত সকল শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের আওয়াতামুক্ত রাখার দাবিতে মানববন্ধন করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শিক্ষক সমিতি। বাংলাদেশ আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী ফেডারেশনের পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচির সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে এই মানববন্ধন করেন শিক্ষকরা।

আজ রোববার (২৬ মে) দুপুর ১২টার সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদ ভবনের সামনের রাস্তায় শতাধিক শিক্ষকের উপস্থিতিতে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়।

ইবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মামুনুর রহমানের সঞ্চালনায় এবং সংগঠনটির সভাপতি অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. তপন কুমার জোদ্দার, শাপলা ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক ড. পরেশ চন্দ্র বর্ম্মণ এবং সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রবিউল হোসেন সহ শতাধিক শিক্ষক।

মানববন্ধনে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মামুনুর রহমান বলেন, বর্তমানে যে পেনশন স্কিম চালু আছে তাতে একজন শিক্ষক অবসরের পর যে পরিমাণ অর্থ পায়, প্রত্যয় স্কিম চালু হলে তার চেয়ে অনধিক এক কোটি টাকা কম পাবে। বর্তমানে শিক্ষকদের রিটায়ারমেন্টের বয়স ৬৫ বছর, কিন্তু প্রত্যয় স্কিম প্রণয়নে এই বয়স ৬০ বছর।

এছাড়াও প্রত্যয় স্কিম প্রণয়নে একজন শিক্ষক মারা গেলে তার নমিনি ৭৫ বছর পর্যন্ত ভাতা পাবে, যা বর্তমানে চালু নেই। এমন ই নানা রকম অসঙ্গতিপূর্ণ এই সিস্টেম প্রত্যাহার করতে হবে।

মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন বলেন, ২০১৫ সালে যারা ষড়যন্ত্র করেছিলো ঠিক তারই একটি গ্রুপ আজকের এই সর্বজনীন পেনশন স্কিম ঘোষণার সাথে জড়িত। মেধাবী শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের সামনে তারা তাদের যুক্তি প্রদর্শন করতে পারে না তাই তাদের উদ্দেশ্য বিশ্ববিদ্যালয় লেভেলে যেন মেধাবী শিক্ষার্থীরা না আসে, শিক্ষক না হয়। এটি একটি ষড়যন্ত্র।

 আরও পড়ুন: আগ্রাসী রূপ নিচ্ছে রেমাল, আছড়ে পড়ছে বড় বড় ঢেউ...

তিনি আরও বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যখন সর্বজনীন পেনশন ঘোষণা করেন তখন এই ‘প্রত্যয়’ স্কিম অন্তর্ভুক্ত ছিলো না। ২০১৫ সালে ৮ম জাতীয় বেতন স্কেলে শিক্ষকদের অবনমন করা হয়েছিল। সেই ষড়যন্ত্রের ফলেই এটি হয়েছে। আমরা ফেডারেশনের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করছি এবং অনতিবিলম্বে এ বৈষম্যমূলক স্কিমের আওতা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা এবং কর্মচারীদের মুক্ত রাখতে হবে।

উল্লেখ্য, গত ১৩ই মার্চ ২০২৪ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয় কর্তৃক জারিকৃত প্রজ্ঞাপনে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকসহ কর্মকর্তা, কর্মচারীদের বর্তমান পেনশন ব্যবস্থা থেকে বের করে সর্বজনীন পেনশন স্কিম এর অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

২০২৪ সালের পহেলা জুলাই থেকে এসব প্রতিষ্ঠানে যারা যোগদান করবেন তাদের বাধ্যতামূলকভাবে সার্বজনীন পেনশনের সর্বশেষ স্কিমের আওতাভুক্ত করতে হবে। ফলে আগামী ১ জুলাই এবং তৎপরবর্তীতে নিয়োগপ্রাপ্ত সকলেই আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।

ইবি প্রতিনিধি