বিয়ের অনুষ্ঠানে কাঁচা মরিচ না দেওয়ায় দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ১৫

 অনলাইন ডেস্ক    ৫ জুলাই, ২০২৩ ১৩:১৯:০০নিউজটি দেখা হয়েছে মোট 7 বার

বিয়ের অনুষ্ঠানে খাবারের সঙ্গে কাঁচামরিচ ও সালাদ না দেওয়াকে কেন্দ্র করে বর ও কনে পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় প্রায় ১৫ জন আহত হয়েছে।গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটেছে পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার কনকদিয়া ইউনিয়নের কুম্ভখালী গ্রামে।

পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার কনকদিয়া ইউনিয়নের কুম্ভখালী গ্রামে গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে খাবারের সঙ্গে কাঁচামরিচ ও সালাদ না দেওয়াতে বর ও কনে পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

উক্ত ঘটনায় বর ও কনে পক্ষের প্রায় ১৫ জন আহত হয়েছে।

কনকদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শাহিন হাওলাদার আজ বুধবার (৫ জুলাই) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সংঘর্ষে আহতেরা হলেন মালেক হাওলাদার (৪০), ফিরোজ হাওলাদার (১৮), মো. জিসান (১০), মতি হাওলাদার (৭০), সালেহা বেগম (৭০), মো. রফিক মিয়া (২৫), মো. মিজান(১৮), খালেক হাওলাদার (২৩) ও মো. হাচিব (৯)। বাকিদের পরিচয় জানা যায়নি।

আরও পড়ুন: পাপিয়াকে কাশিমপুর থেকে কুমিল্লা কারাগারে স্থানান্তর...

আহতদের মধ্যে বেশির ভাগই কনকদিয়া গ্রামের বাসিন্দা।

জানা গেছে, কনকদিয়া ইউনিয়নের কুম্ভখালী গ্রামের মো. নিজাম মিয়ার ছেলে মো. মেহেদী হাসানের সঙ্গে একই গ্রামের বকু ফকিরের মেয়ের বিয়ে সম্পন্ন হয়। মঙ্গলবার বিকেলে ছেলে পক্ষ বরযাত্রী নিয়ে কনের বাড়িতে অনুষ্ঠানে খাবার টেবিলে মাছ, মাংস ও পোলাও দেওয়া হলেও কাঁচামরিচ ও সালাদ ছিল না।

এ সময় ছেলের পক্ষের লোকজন খাবার টেবিলে সালাদ ও কাঁচা মরিচ চান। পরে বিষয়টি নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের লোকজন লাঠিসোটা নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।

এ সময় দুই পক্ষের প্রায় ১৫ জন আহত হন।

এদিকে খবর পেয়ে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক দুজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।

চেয়ারম্যান মো. শাহিন হাওলাদার জানান, মঙ্গলবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন।

অনলাইন ডেস্ক