গাংনী পৌর সুপার মার্কেট নির্মাণ কাজ অনিশ্চিত!

 নিজস্ব প্রতিবেদক    ১৩ মার্চ, ২০২৪ ১৬:৫৯:০০নিউজটি দেখা হয়েছে মোট 24 বার

মেহেরপুরের গাংনীতে ১৬ কোটি ২৯ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত হতে যাচ্ছে পৌর সুপার মার্কেট। এর ফলে গাংনীবাসির উন্নয়নের নতুন দোয়ার খুলবে বলে মনে করছেন এলাকাবাসিরা। কিন্তু পৌর সুপার মার্কেট নির্মাণে কেন এতো বাঁধা।

এলাকাবাসি মনে করছে, এ উন্নয়ন কাজে বাঁধাগ্রস্ত করতে কৌশলে ব্যবহার করা হচ্ছে গাংনী পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়কে। যে প্রতিষ্ঠান সভ্যতার আলো ছড়ায়, সেই প্রতিষ্ঠানকে কেনো রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের ঢাল হিসাবে ব্যবহার করা যাচ্ছে।

এদিকে, পৌর কর্তৃপক্ষ বলছেন, রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে গাংনী পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদ ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মোশারফ হোসেন নানা ধরনের কৌশল অবলম্বন করছেন বলে অভিযোগ করেছেন।

পৌর কর্তৃপক্ষ বলছে, সরকারের উন্নয়ন কাজে বাঁধা দেওয়ার মধ্যে দিয়ে একটি মহল প্রমাণ করছে, তারা দেশের উন্নয়ন চাইনা। গাংনী ফুটবল মাঠ গত কয়েক বছর জরাজীর্ণ ছিল। সামান্য বৃষ্টি হলে, হাঁটু পানি জমতো। গত বছরে গাংনী পৌর কর্তৃপক্ষ মাঠটি সংস্কারে বড় ভূমিকা রাখে।

গাংনী সাপ্তাহিক হাটটি অন্য কোথাও স্থানান্তর না করা পর্যন্ত সুপার মার্কেট নির্মাণ করা সম্ভব হচ্ছে না। তাই, গাংনী ফুটবল মাঠে সাপ্তাহিক হাট বসলে, পৌর সুপার মার্কেট নির্মাণ করা সম্ভব হবে। পৌর সুপার মার্কেট নির্মাণ কাজের মেয়াদ দুই বছর।

এ সময়ে ব্যবসায়ীদের জন্য অস্থায়ী স্থান নির্ধারণ করা হয় গাংনী পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের খেলার মাঠে। কিন্তু গাংনী পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদ তা হতে দেয়নি।

কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, পৌর মার্কেটটি নির্মিত হলে ব্যবসায়ীরা সুন্দর ও স্বাচ্ছন্দে ব্যবসা করতে পারবেন। অথচ সাপ্তাহিক হাটটি স্থানান্তর করা না গেলে মার্কেটটি নির্মাণ করা সম্ভব হবে না। আবার হাটের জন্য অস্থায়ী স্থান নির্ধারণ না করা হলে ব্যবসায়িরা বিপাকে পড়বেন। ফলে হাটটির ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়বে। সেই সাথে ক্ষতিগ্রস্থ হবে ইজারদার ও ব্যবসায়ীগন।

জানা গেছে, গাংনী ফুটবল মাঠের জমি গাংনী পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের একার নয়। ব্যাক্তি মালিকানাধিন বসত ভিটা ছাড়াও স্থানীয় তহশীল অফিসের জমি রয়েছে। কিন্তু মাঠটি নিজেদের বলে দাবী করে জনগনের স্বার্থের কথা না ভেবে অস্থায়ী হাট বসানোয় বাঁধা দেয়া হচ্ছে।

গাংনী পৌর মেয়র আহম্মেদ আলী আরও জানান, ফুটবল মাঠে হাটটি বসানোর কথা ছিল। সেটি বাঁধা দিচ্ছেন গাংনী পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

যেহেতু জায়গাটি তাদের, তারা পৌরসভাকে বলতে পারতো কিন্তু তা না করে সংবাদ সম্মেলন করে নোংরা রাজনৈতিক পরিচয় দিয়েছেন। সরকারের উন্নয়ন পরিকল্পিতভাবে বাধাগ্রস্থ করছে।

হাটটি কাঁচা বাজার ও র‌্যাব ক্যাম্প মধ্যবর্তী রাস্তার পাশে বসবে। ইতোমধ্যে মসজিদ কমিটির লোকজনের সাথে কথা হয়েছে। খুব তাড়াতাড়ি সাপ্তাহিক হাট বসানো হবে ও মার্কেট নির্মাণ কাজ শুরু করা হবে।

নিজস্ব প্রতিবেদক