স্টেডিয়ামের জায়গা দখল করে 'নীলা মার্কেট'

 মোঃ নাঈম মাহমুদ, ঢাকা    ২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪ ২২:৫৭:০০নিউজটি দেখা হয়েছে মোট 12 বার

রাজধানীর পূর্বাচল আবাসিক এ স্টেডিয়ামের জন্য ২০ একর জমি বরাদ্দ দেয়া হয়। প্রায় ২০০ পরিবারকে সরিয়ে এই জমি বরাদ্দ দেয় রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাউজক)। তবে স্টেডিয়ামের এই জমিতে দখলবাজদের দখল থামছে না।

১০০ দোকানপাট ও ক্লাব গড়ে নাম দেয়া হয়েছে ‘নীলা মার্কেট’। মসজিদ বানিয়ে স্টেডিয়ামের জায়গাটি স্থায়ীভাবে দখল করার চেষ্টা চলছে। সবজি, তৈজস পত্রের হাটও জমে উঠেছে সেখানে। অনেকবার নীলা মার্কেট উচ্ছেদ করেছে রাজউক। এরপরও থামছে না স্থানীয় প্রভাবশালীদের দখলদারিত্ব, এক ধরনের অসহায়ত্বই প্রকাশ করেছে রাজউক।

রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) প্রধান প্রকৌশলী বলেন, আমরা প্রায়ই নীলা মার্কেট উচ্ছেদ করি। একদিন উচ্ছেদ করি, তার পরের দিন থেকে আবারও টিনের ঘর করে দোকান বসানো শুরু হয়। নীলা মার্কেটে নানা ধরনের ব্যবসা লেগে আছে। এখানে একটা চক্র গড়ে উঠছে তাদের সঙ্গে আমরা পেরে উঠছি না। তবে আমরা উচ্ছেদ অভিযান থামাবো না।

আরও পড়ুন: চাকরি দিচ্ছে লংকাবাংলা...

পূর্বাচল নতুন শহর জাতীয় ক্রীড়া কমপ্লেক্স নির্মাণের জন্য বরাদ্দ ছিল ৩৭ দশমিক ৫০ একর জমি । মোট জমি থেকে ক্রিকেট স্টেডিয়ামের জন্য ২০ একর জমি বরাদ্দ রাখা হয়। প্রথমে রাজউক নিজেরাই এটি নির্মাণ করতে চাইলে পরে এই জমি যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের থাকা জাতীয় ক্রীড়া পরিষদকে বরাদ্দ দেয়। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) স্টেডিয়ামটি করার কথা। প্রায় দুই থেকে আড়াইশ পরিবারকে সরিয়ে দিয়ে স্টেডিয়ামের জায়গা বের করা হয়।

সরজমিনে ঘুরে দেখা যায়, নীলা মার্কেটে পাকা, আধা পাকা কয়েকশ’ দোকান নির্মাণ করা হয়েছে। আলাদা কাঁচাবাজার গড়ে উঠেছে সেখানে। এসব দোকান থেকে প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ টাকা চাঁদা নেওয়া হচ্ছে। বিদ্যুৎ, পানি সরবরাহ ও পরিচ্ছন্নতার কথা বলে প্রতি দোকান থেকে ১০০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত চাঁদা নিচ্ছে একটি চক্র। মার্কেটকে ঘিরে আশপাশের এলাকায় গড়ে উঠেছে মাদকের আস্তানা। মার্কেটের আশপাশটি নির্জন। সেখানে আসা এক শ্রেণীর তরুণ তরুণী জড়িয়ে পড়ছে অসামাজিক কর্মকাণ্ডে।

৩০০ ফিট সড়ক দিয়ে ঘুরে বেড়াতেও ভালো লাগে। আশপাশের এলাকাগুলো অতি নির্জন। এজন্য বিভিন্ন স্থান থেকেই মানুষজন এখানে ঘুরতে আসেন।

মোঃ নাঈম মাহমুদ, ঢাকা