নব্য রাজাকার ঠেকাতে মাঠে ইবি ছাত্রলীগ

 ইবি প্রতিনিধি    ১৫ জুলাই, ২০২৪ ১৬:৫৩:০০নিউজটি দেখা হয়েছে মোট 12 বার

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের 'তুমি কি আমি কে, রাজাকার রাজাকার' স্লোগানে মধ্যরাতে বিক্ষোভের পর এবার নব্য রাজাকার ঠেকাতে মাঠে অবস্থান নিয়েছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

আজ সোমবার (১৫ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১ টার সময় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত ও সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয়ের নেতৃত্বে প্রতিটি হল ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে ক্যাম্পাসের দলীয় ট্রেন্ট থেকে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন প্রধান প্রধান সড়ক ও পার্শ্ববর্তী শেখপাড়া বাজার প্রদক্ষিণ করে আবারো একই স্থানে এসে ছাত্র সমাবেশে মিলিত হয়।

এসময় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি শিমুল খান, রতন রায়, রাজু আহমেদ, অপু রয়, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হোসাইন মজুমদার, সাংগঠনিক সম্পাদক সোহাগ শেখ, মেজবাহুল ইসলাম সহ বিভিন্ন স্তরের প্রায় দুই শতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

এসময় তারা তুমি কে আমি কে, বাঙালি বাঙালি ; হৈ হৈ রৈ রৈ, রাজাকার গেলি কই; রাজাকারের চামড়া, তুলে নেব আমরা; জামাত শিবির রাজাকার, এই মুহূর্তে বাংলা ছাড় ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন। ছাত্র সমাবেশে শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয় বলেন, যে শব্দটাকে আমরা শৈশব থেকে ঘৃণিতভাবে জেনে এসেছি সেই রাজাকার শব্দটিকে গতকাল রাতে এই বাংলাদেশের পবিত্র মাটিতে কিছু মুষ্টিমেয় শিক্ষার্থী গর্বভরে উচ্চারণ করেছে।

তাদের এহেন কর্মকাণ্ডে সারাদেশেএ ছাত্রসমাজ লজ্জিত হয়েছে। ৭১ সালে যুদ্ধ হয়েছিল রাজাকারের বিরুদ্ধে, আজ ইবি শাখা ছাত্রলীগের দলীয় টেন্ট থেকে ঘোষণা দিতে চাই, এই বাংলার মাটিতে আরেকবার রাজাকার নামের স্লোগান শুনলে নব্য রাজাকারদের সমূলে উৎপাটন করা হবে।

আরও পড়ুন: চ্যাম্পিয়ন হয়ে যে রেকর্ডে সবার উপরে মেসি...

শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত বলেন, মীরজাফর ও রাজাকার শব্দগুলো আমরা একই অর্থে ব্যবহার করি। যারা ১৯৭১ সালে পাকিস্তানিদেএ অনুগত হয়ে নিরিহ বাঙ্গালিকে হত্যা করেছে, মা-বোনদের সম্ভ্রম লুট করেছে তারাই সেই ঘৃণিত রাজাকার গোষ্ঠী। স্বাধীনতা এতবছর পরেও গতকাল রাতে যারা বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যারা রাজাকার রাজাকার স্লোগান দিয়েছে তাদের প্রতি আমরা ধিক্কার জানাই।

আমরা মনে করি তাদের আসল স্থান ওই পাকিস্তানে। যারা শিক্ষার্থীদের আবেগকে পুজি করে অরাজকতা তৈরীর চেষ্টা করছেন তাদের কঠোর হুশিয়ার করে দিতে চাই।

উল্লেখ্য, গতকাল গণভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে দেশব্যাপী চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে এত ক্ষোভ কেন? মুক্তিযোদ্ধাদের নাতি-পুতিরাও চাকরি পাবে না? তাহলে কি রাজাকারের নাতি-পুতিরা পাবে? - এমন বক্তব্যের প্রতিবাদে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ন্যায় ফুসে ওঠে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এসময় মধ্যরাতে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল ও ছাত্র সমাবেশ করে সংস্কারপন্থীরা ৷

ইবি প্রতিনিধি