অর্ধশত কোটি টাকা লুট: কোরিয়ান এলএস ক্যাবলের পরিচালককে আদলতে হাজির হওয়ার নির্দেশ

 ঢাকা প্রতিনিধি    ১ জুলাই, ২০২৪ ০৯:৫৬:০০নিউজটি দেখা হয়েছে মোট 2 বার

দক্ষিণ কোরিয়ান বৈদ্যুতিক ক্যাবল নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এলএস ক্যাবল এন্ড সিস্টেম লিমিটেডের বিরুদ্ধে দেশীয় কোম্পানিগুলোকে দিয়ে কাজ করিয়ে নিয়ে পাওনা টাকা পরিশোধ না করে প্রায় অর্ধশত কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে করা মামলায় প্রতিষ্ঠানটির প্রকল্প পরিচালক স্যাম ইউকে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিয়ে আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ঢাকার চীপ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কার্যালয় এই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। বিজ্ঞপ্তিতে আগামী ১০ দিনের মধ্যে উল্লিখিত আসামিকে বিজ্ঞ আদালত এম.এম-৫ এ হাজির হতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। অন্যথায় আসামীর অনুপস্থিতিতে বিচারকার্য সমাধা হবে বলে জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, যেহেতু এলএস ক্যাবলের প্রকল্প পরিচালক স্যাম ইউ এর বিরুদ্ধে সিআরএম মামলা-২৬৬/২০২৩ দায়ের করা হয়েছে এবং এই আসামীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী রহিয়াছে এবং যেহেতু ফৌজদারী কার্যবিধি ১৮৯৮ এর ৮৭ ধারা এবং ৮৮ ধারার বিধান মোতাবেক উক্ত আসামীর বিরুদ্ধে কার্যক্রম গ্রহণ করা হইয়াছে।

অত্র আদালতে বিশ্বাস করিবার কারণ রহিয়াছে যে, অত্র আদালতে বিচারার্থে উক্ত আসামী সোপর্দ/ গ্রেফতার এড়াইবার জন্য পলাতক রহিয়াছেন বা আত্মগোপন করিয়াছেন এবং উক্ত আসামীকে শ্রীঘ্রই গ্রেফতার করিবার সম্ভাবনা নাই।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, এমতাবস্থায় ফৌজদারী, কার্যবিধির ৩৩৯ বি (১) ধারার বিধান অনুযায়ী উক্ত আসামীকে নিম্নে তফসিলে তাহাদের নামের পার্শ্বে লিখিত মামলা বিচারের জন্য আদেশ জারি হইবার ১০ দিনের মধ্যে বিজ্ঞ এম.এম. আদালত নং-০৫ এ হাজির হইবার নির্দেশ দেওয়া যাইতেছে। অন্যথায় তাহার অনুপস্থিতিতেই বিচার কার্য সমাধা করা হইবে।

এ বিষয়ে এলএস ক্যাবল এন্ড সিস্টেম লিমিটেডের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ তুলা কোম্পানিটির লোকাল এজেন্ট বিএনএফ ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক লায়ন প্রকৌশলী মোঃ মোস্তফা কামাল জানান, এলএস ক্যাবল বাংলাদেশ এর বিভিন্ন সরকারি বিদ্যুৎ বিতরণকারী প্রতিষ্ঠানের সাথে দীর্ঘদিন যাবত উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন ভূগর্ভস্থ ক্যাবল সরবরাহ ও প্রতিস্থাপনের কাজ করে আসছে।

এই কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পূর্ণ করতে তারা বাংলাদেশের স্বনামধন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বিএনএফ ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড এর সঙ্গে তাদের লোকাল এজেন্ট এবং সাব কন্ট্রাক্টর হিসেবে চুক্তি সম্পাদন করে। কাজ শুরুর প্রথম দিকে তারা চুক্তির শর্ত মোতাবেক চলমান বিল উত্তোলন করে বিল পরিশোধ করতে থাকে।

পরবর্তীতে তারা চলমান বিল পরিশোধ না করে তাদের নিজস্ব একাউন্টে জমা করতে থাকে। পাওনা টাকা পরিশোধের জন্য বিএনএফ ইঞ্জিনিয়ার্স এর পক্ষ থেকে একাধিক ইনভয়েস জমা দিলেও তারা কোন টাকা পরিশোধ করেনি।

কোরিয়ান কোম্পানির সাথে সম্পাদিত ৪টি চুক্তিতে আমাদের প্রায় ৪৮ কোটি টাকা বিভিন্ন খাতে এল এস ক্যাবল এন্ড সিস্টেম লিমিটেডের কাছে আটকে আছে। তিনি দ্রুত সময়ের মধ্যে পাওনা টাকা ফিরে পেতে তারা সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

ঢাকা প্রতিনিধি