শিক্ষকদের অবাঞ্চিত করে টানানো বিতর্কিত ব্যানার পোড়ালেন ইবির সমন্বয়ক পরিষদ

 ইবি প্রতিনিধি     ১২ সেপ্টেম্বার, ২০২৪ ১৫:০৪:০০নিউজটি দেখা হয়েছে মোট 26 বার

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে অবস্থান উল্লেখ করে ৯ জন শিক্ষকের ছবি ও নামে বিতর্কিত ব্যানার বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক পরিষদের সদস্যরা নামিয়ে তা একসাথে পুড়িয়ে দিয়েছেন। শিক্ষকদের নামে বানানো এই ব্যানার উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মনে করছেন সমন্বয়ক পরিষদ।

আজ বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিভিন্ন একাডেমিক ভবন, প্রশাসন ভবন এবং আবাসিক হলের সামনে থেকে এসব ব্যানার নামিয়ে নেন সমন্বয়কদের একাংশ। তবে এর আগেই তিন শিক্ষকের নামের অংশ মুছে ও কেটে ফেলে সেসব বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

সরেজমিনে দেখা যায়, ব্যানারে সাধারণ শিক্ষার্থীদের প্রচারে উল্লেখ করে ৯ জন শিক্ষককে অবাঞ্চিত ও বয়কট ঘোষণা করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক, প্রশাসন ভবন, পাঁচটি একাডেমিক ভবন এবং ৭ টি হলের সামনে ব্যানার টানানো ছিলো।

এর আগে, ইংরেজি বিভাগের সাজ্জাদ হোসেন জাহিদ, ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের মিঠুন বৈরাগী এবং সাংবাদিকতা বিভাগের তন্ময় সাহা জয়ের নামের অংশটি রঙের স্প্রে করে মুছে ও ব্লেড দিয়ে কেটে সরিয়ে ফেলছিলেন সেসব বিভাগের শিক্ষার্থীরা। রবর্তীতে সমন্বয়ক পরিষদের সদস্যরা বিষয়টি অবগত হলে তারাই উদ্যোগ নিয়ে ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে টানানো ১৫ টি ব্যানার নামিয়ে ফেলেন।

এরপর এসব ব্যানার একত্র করে মেইন গেইটে নিয়ে পুড়িয়ে ফেলেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ইবি সহ-সমন্বয়ক তানভীর মন্ডল বলেন, কে বা কারা এই কাজ করেছে সে সম্পর্কে সমন্বয়ক পরিষদ অবগত না। এটা যে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে করা হয়েছে সেটা বোঝাই যাচ্ছে। স্বার্থান্বেষী মহল যে এই কাজ করেছে তা নিশ্চিত।

কয়েকজন শিক্ষক যারা অনলাইনে অফলাইনে আমাদের সাথে যুক্ত ছিল খোঁজখবর নিয়েছে, তাদেরকেও এখানে নিয়ে আসা হয়েছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এসব ব্যানারের মাধ্যমে শিক্ষকদের অবশ্যই অবমাননা করা হয়েছে।

কোন কোন শিক্ষককে অবমাননা বা লাঞ্চিত করা হয়েছে বলে মনে করেন - এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'আমার কাছে যে তথ্য আছে সে মোতাবেক ইংরেজি বিভাগের সাজ্জাদ হোসেন স্যার অনলাইনে আমাদের সাথে যুক্ত ছিলেন। বিভিন্ন সময় ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন শিক্ষার্থীদের খোঁজখবর নিয়েছেন।

এছাড়া মিঠুন বৈরাগী স্যারের ব্যাপারেও আপত্তি এসেছে। পাশাপাশি জার্নালিজম বিভাগের তন্ময় স্যারের ব্যাপারে স্যারের শিক্ষার্থীরা ব্যানার থেকে তার নাম কেটে দিচ্ছে। সাধারণ শিক্ষার্থীরা যেহেতু শিক্ষকদের পক্ষে আছে সেক্ষেত্রে এটা অবশ্যই বিবেচনার বিষয়।

ইবি প্রতিনিধি