চিত্রনায়ক ফেরদৌসের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা

 অনলাইন ডেস্ক    ২৩ আগষ্ট, ২০২৪ ১০:৩৮:০০নিউজটি দেখা হয়েছে মোট 7 বার

ঢাকা-১০ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও ঢাকাই চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় নায়ক ফেরদৌস আহমেদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) রাতে রাজধানী ঢাকার আদাবর থানায় দায়ের করা হয়েছে মামলাটি।

এদিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় পোশাক শ্রমিক রুবেল হত্যার ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ ১৫৬ জনের নাম উল্লেখ করে একই থানায় ৫০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।

এছাড়া নরসিংদীতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে হত্যা ও বিস্ফোরণসহ পাঁচটি অভিযোগে মামলা করা হয়েছে।

আরো পড়ুন:সাকিব আল হাসানের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা

বৃহস্পতিবার দুপুরে সদর উপজেলার বাদুয়ারচর এলাকার মৃত আবু সিদ্দিক মিয়ার ছেলে আলমাছ মিয়া অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রিট আদালতে হত্যা-বিস্ফোরণসহ কয়েকটি অভিযোগ এনে মামলাটি করেন। মামলায় সাবেক সড়ক যোগাযোগ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, নরসিংদীর সাবেক সংসদ সদস্য লে. কর্নেল (অব.) নজরুল ইসলাম হিরো, সাবেক পুলিশ প্রধান চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুন, সাবেক ডিবি প্রধান হারুন অর-রশিদ, জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জিএম তালেব হোসেন, সাধারণ সম্পাদক পীরজাদা মোহাম্মদ আলীসহ ৮১ জনকে আসামি করা হয়।

আরো পড়ুন: ব্যারিস্টার সুমনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা

এর আগে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১০ আসন থেকে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করে জয় লাভ করেন চিত্রনায়ক ফেরদৌস। নির্বাচনে ৬৫ হাজার ৮৯৮ ভোটে জয়ী হন তিনি। আর তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ন্যাশনাল পিপলস পার্টির প্রার্থী শামসুল আলম আম প্রতীকে পান ২ হাজার ২৫৭ ভোট।

প্রসঙ্গত, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এক দফা কর্মসূচি ঘিরে গত ৪ আগস্ট ঢাকাসহ সারাদেশে সরকার সমর্থিত নেতাকর্মী ও পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষে শতাধিক নিহতের খবর পাওয়া যায়। এর মধ্যে সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানায় ১৩ জন ছাড়াও কুমিল্লার ইলিয়টগঞ্জে পৃথক হামলায় হাইওয়ে থানার এক পুলিশসহ মোট ১৪ জন পুলিশ সদস্য নিহত হয়। সরকারি চাকরিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে কোটাপ্রথা সংস্কারের দাবিতে গত জুলাইয়ের প্রথম থেকে আন্দোলন করে আসছিলেন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

আরো পড়ুন: সাবেক জনপ্রশাসন মন্ত্রীসহ ১৬৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার

এ অবস্থায় গত ১৫ জুলাই রাজধানী ঢাকাসহ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর দফায় দফায় হামলা চালায় ছাত্রলীগ। একইসঙ্গে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন দমাতে গুলি চালায় পুলিশ। শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশ ও আওয়ামী লীগ এবং দলটির সহযোগী অঙ্গ সংগঠনের হামলায় কয়েক শতাধিক শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষের মৃত্যু হয়।

এ অবস্থায় শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষের বিক্ষোভ ও আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট দুপুর আড়াইটার দিকে ক্ষমতা ছেড়ে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। তার দেশত্যাগের খবর প্রকাশ্যে আসার পরই আওয়ামী লীগ এবং দলটির সহযোগী অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের দেশ ছাড়ার হিড়িক পড়ে। কেউ কেউ আবার আত্মগোপনে চলে যান।

তবে এরইমধ্যে কয়েকজন নেতাকর্মীকে বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তারও করা হয়েছে।

অনলাইন ডেস্ক