উন্নয়নের ধারা সম- বন্টন করে কাজ করবো- প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা

  মোঃ আনোয়ার হোসেন (জীবন)     ১৭ জানুয়ারী, ২০২৪ ১৩:৫১:০০নিউজটি দেখা হয়েছে মোট 4 বার

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের নব নিযুক্ত প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা (এমপি) নিজ শহর খাগড়াছড়িতে আগমন উপলক্ষে ফুলেল সংবর্ধনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

খাগড়াছড়ির ২৯৮নং আসন থেকে জাতীয় দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে টানা তৃতীয় বারে মতো বিপুল ভোটে জয়লাভ করেন কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি। মন্ত্রী পরিষদ গঠিত হলে গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে নব নিযুক্ত হন তিনি।

মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারী) পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের নবনিযুক্ত প্রতিমন্ত্রী ঢাকার হয়ে নিজ শহর খাগড়াছড়ি আসলে রাস্তায় রাস্তায় গাড়ি থামিয়ে ফুলের মালা দিয়ে বরণ করেন বিভিন্ন উপজেলার নেতাকর্মীরা।

পরিবর্তীতে জেলা আওয়ামী লীগ ও সকল সহযোগী অঙ্গ সংগঠনসহ সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের নানা সংস্থার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ কার্যকরী নেতৃবৃন্দরা খাগড়াছড়ি শহরে তাকে ফুল দিয়ে বরণ করেন ।

এছাড়া পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী জনাব- কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা,এমপি কে খাগড়াছড়ি সার্কিট হাউস এ প্রশাসনিক ভাবে গার্ড অব অনার প্রদান করেন। এসময়, জেলা সদরের টাউন হল মাঠে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ জাতীয় চার নেতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।

সংবর্ধনা গ্রহণের পর উপস্থিত দলীয় নেতাকর্মীসহ জনগনের মাঝে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী জননেতা কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা বলেন - গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে কাজ করবার সুযোগ করে দিয়েছেন, সেই লক্ষে আমি পার্বত্য চট্টগ্রামের শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন,ও সকল সম্প্রদায়ের ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সম্প্রতির মেল বন্ধন তৈরি করতে ভূমিকা রাখবো।

তিনি আরো বলেন- আমি খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান থাকার সময় থেকে শুরু করে স্থানীয় সরকার পরিষদের সদস্য,টাস্কফোর্স'র চেয়ারম্যান ও এমপি হওয়া পর্যন্ত পাহাড়ের জনমানুষের জন্য কাজ করে এসেছি। এবং উন্নয়নের ধারা যাতে সকল সম্প্রদায়ের ক্ষেত্রে সম- বন্টন হয় সে দিকে খেয়াল রেখেই কাজ করবো।

এছাড়াও তিনি বলেন- পাহাড়ে কাজ করতে গেলে প্রতিটা কাজ ষড়যন্ত্রের বেড়াজাল ভেদ করে চ্যালেঞ্জিং নিয়ে মোকাবেলা করতে হয়।

উক্ত সংবর্ধনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্রলাল ত্রিপুরা (এমপি) ও তার সহধর্মিনী মল্লিকা ত্রিপুরা, জেলা আওয়ামী লীগ ও খাগড়াছড়ি পৌর মেয়র নির্মলেন্দু চৌধুরী, খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও জেলা পরিষদের সদস্য কল্যাণ মিত্র বড়ুয়া, সহ-সভাপতি মংক্যচিং চৌধুরী, জেলা পরিষদের সদস্য এ্যাড. আশুতোষ চাকমা, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক দিদারুল আলম উপস্থিত ছিলেন।

জেলা আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক নুরুল আজম সঞ্চালনায় ফুলেল শুভেচ্ছা ও সংবর্ধনার অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক চন্দন কুমার দে, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও সাবেক মুক্তিযুদ্ধো কমান্ডার রইচ উদ্দীন, জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক কে এম ইসমাইল হোসেন, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজ উদ্দিন, খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা চেয়ারম্যান শানে আলম, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি সনজীব ত্রিপুরা ও সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ রায় দাশ, মহালছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি রতন কুমার শীল ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ জসিম উদ্দিন, শ্রমিক লীগের সভাপতি জানু শিকদার ও সাধারন সম্পদক মেহেদী হাসান হেলাল, কৃষক লীগের সভাপতি পিন্টু ভট্টাচার্য ও সাধারণ সম্পাদক খোকন চাকমা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হ্লাশিং মং চৌধুরী, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ঞইয়ারী চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক শাহিনা বেগম, জেলা যুব মহিলা লীগের সভানেত্রী বিউটি রানী ত্রিপুরা, সাধারণ সম্পাদক শাহীনা আক্তার, জেলা ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও কাউন্সিলর বাবু পরিমল দেবনাথ, খাগড়াছড়ি পৌরসভার কাউন্সিলর ও পৌর যুবলীগের সভাপতি মানিক পাটোয়ারী, পৌর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও ৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রেজাউল করিম, জেলা আওয়ামী লীগের, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দগণ ও ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন।

মোঃ আনোয়ার হোসেন (জীবন)