হঠাৎ দায়িত্ব ছাড়লেন বিসিবির কিউরেটর টনি হেমিং

 অনলাইন ডেস্ক    ১১ জুলাই, ২০২৪ ১১:২৪:০০নিউজটি দেখা হয়েছে মোট 4 বার

চুক্তির এক বছর বাকি রেখেই হঠাৎ বিসিবিকে বিদায় বললেন অস্ট্রেলিয়ান পিচ কিউরেটর টনি হেমিং। শেষ ১ বছরে যার কাজ প্রশংসা কুড়িয়েছিলো ক্রিকেট মহলে, তার এমন বিদায়ে নানান গুঞ্জনের জন্ম দিয়েছে।

কেউ বলছে বোর্ডের অন্তর্কোন্দলের শিকার, কেউ বা দায় দিচ্ছেন দূরদর্শিতার অভাবকে। যদিও এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে হেমিংয়ের বিদায় খবরের জানিয়েছে বিসিবি।

কিছুদিন আগেও টনি হেমিংকে নিয়ে লম্বা পরিকল্পনার ছক কষছিলো বিসিবি। এক সপ্তাহের ব্যবধানে ১ বছর বাকি রেখেই, পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন এই অজি। বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন গ্রাউন্ড নিয়ে কাজ করা এই মৃত্তিকা বিশারদ, অল্প কয়েকদিনেই দৃশ্যমান পরিবর্তন আনেন সিলেট ও চট্টগ্রামের আউটফিল্ডে।

কেবল সিলেট-চট্টগ্রাম নয়, এক সপ্তাহ আগে তৈরি করে এসেছেন বরিশালের শহীদ আবদুর সেরনিয়াবাত স্টেডিয়ামের নতুন পিচ বসিয়ে। গ্রাউন্ডসের উন্নতিতে কিছু উন্নত যন্ত্রপাতি কেনার পরামর্শের পাশাপাশি, মৃত্তিকাবিজ্ঞানে অভিজ্ঞ তরুণদের কিউরেটর হিসেবে গড়ে তোলার প্রচেষ্টাও শুরু করেছিলেন।

তবে নিজের সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনার বাস্তবায়ন তো দূরে থাক, হুট করেই হেমিং বিদায় বললেন টাইগার ক্রিকেটকে। আর তার এমন হঠাৎ পদত্যাগে নানান গুঞ্জনের জন্ম হয়েছে ক্রিকেট পাড়ায়।

আরও পড়ুন: উরুগুয়েকে বিদায় করে কোপার ফাইনালে কলম্বিয়া...

এক সূত্রের দাবি, বোর্ড পরিচালকের সঙ্গে মত বিরোধে সরে দাঁড়িয়েছেন এই অভিজ্ঞ কিউরিটের। যদিও এটা যদি স্রেফ গুঞ্জনও হয়, তবুও দায় এড়ানোর সুযোগ নেই দেশের ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থার। প্রাথমিকভাবে ২০২৩ সালে পূর্বাচল স্টেডিয়াম পুরোপুরি প্রস্তুতের কথা থাকলেও, ২৪-এ এসে সেই স্টেডিয়াম তো দূরে থাক বরং ৭০০ কোটি টাকার ব্যয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে আড়াই হাজার কোটি টাকায়।

আর বিসিবির এই মেগা প্রজেক্টের জন্য যে কিউরেটরকে আনা হয়েছিলো, সেই হেমিংয়ের বিদায়ঘণ্টা বাজলো ভেন্যুর মুখ না দেখেই। যদিও হেমিং যে চুক্তির আগেই সরে দাঁড়াবেন এটা হয়তো প্রত্যাশিতই ছিলো বিসিবির কাছে।

বিসিবি আনুষ্ঠানিক বিবৃতি বুধবার (১০ জুলাই) দিলেও, এই পিচ কিউরেটরকে নিয়োগের ব্যাপার মাস দুয়েক আগে থেকেই আত্মবিশ্বাসী পাকিস্তান। বিসিবি হেমিংয়ের পরবর্তী গন্তব্য উল্লেখ না করলেও, আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে জানিয়েছে শুভকামনা।

বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী হেমিংকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, 'টনি হেমিং বিসিবির জন্য অমূল্য সম্পদ ছিলেন। তিনি তার বিস্তৃত জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা দিয়ে আমাদের ক্রিকেটের অবকাঠামো উন্নত করতে সাহায্য করেছেন। তার পরিশ্রমী মনোভাব এবং নিবেদন বাংলাদেশের মাঠ প্রস্তুতির মান উন্নত করেছে, সেখানে একটি স্থায়ী প্রভাব ফেলেছে।'

অনলাইন ডেস্ক