ম্যাথিউসের টাইমড আউট: ব্যাখ্যা এমসিসির

 অনলাইন ডেস্ক    ১২ নভেম্বার, ২০২৩ ১১:৩৫:০০নিউজটি দেখা হয়েছে মোট 22 বার

এবারের বিশ্বকাপে বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলতে নেমে অদ্ভুত এক রেকর্ডের মালিক হয়েছেন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস। প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে টাইমড আউট হয়েছেন শ্রীলঙ্কান এই অলরাউন্ডার। ম্যাচের পাঁচ দিন পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত এই আউট নিয়ে চলছে তর্ক-বিতর্ক।

গত সোমবার (৬ নভেম্বর) বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা ম্যাচে লঙ্কানদের ইনিংসের ২৫তম ওভারে সাদিরা সামারাবিক্রমার আউটের পর ব্যাটিংয়ে নামতে দেরি করেন ম্যাথিউস।

বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের আবেদনের প্রেক্ষিতে ম্যাথিউসকে আউট ঘোষণা করেন কর্তব্যরত আম্পায়ার। পরবর্তী সময়ে এই ঘটনা নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে বেশ।

ম্যাথিউসের আউট নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে তর্ক চলছে এখনও। এরই মধ্যে শনিবার (১১ নভেম্বর) এই বিষয়ে বিশদ ব্যাখ্যাসহ বিবৃতি দিয়েছে ক্রিকেটের আইন প্রণয়নকারী সংস্থা মেরিলিবোর্ন ক্রিকেট ক্লাব (এমসিসি)।

বিবৃতির আগে টাইমড আউটের নিয়মটি মনে করিয়ে দিয়ে এমসিসি লিখেছে, ‘উইকেট পতনের পর কিংবা ব্যাটসম্যান অবসর নেয়ার পর মাঠে আসা ব্যাটসম্যানকে কিংবা অন্য ব্যাটসম্যানকে পরের বলটা খেলার জন্য ৩ মিনিটের মধ্যে প্রস্তুতি সারতে হবে। এই শর্ত পূরণ না হলে মাঠে আসা ব্যাটসম্যানটি টাইমড আউট হবেন।’

আরও পড়ুন: শামিকে বিয়ে করতে চান বাঙালি অভিনেত্রী...

এমসিসি আরও জানায়, বিশ্বকাপের ম্যাচটি আইসিসির আন্তর্জাতিক ওয়ানডে প্লেয়িং কন্ডিশনের অধীনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এসব ক্ষেত্রে এমসিসির আইনের ওপর আইসিসির প্লেয়িং কন্ডিশন প্রাধান্য পাবে। আইসিসির প্লেয়িং কন্ডিশনে ২ মিনিটের মধ্যে পরবর্তী বল খেলতে প্রস্তুত হওয়ার কথা বলা হয়েছে। এ ছাড়া এই আইনের বাকি বিষয়গুলো একই।

এমসিসির ব্যাখ্যা অনুযায়ী, টাইমড আউটের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো ব্যাটারকে বল খেলতে অবশ্যই প্রস্তুত থাকতে হবে। তারা এটাও স্পষ্ট করে জানিয়েছে যে বেঁধে দেয়া ২ মিনিট সময়ের মধ্যে ম্যাথিউস বল খেলতে প্রস্তুত ছিলেন না।

এমসিসি এর পাশাপাশি এটাও মনে করিয়ে দিয়েছে, ২ মিনিট সময় পেরিয়ে যাওয়ার পর দুই আম্পায়ারই নিশ্চিত হয়েছেন যে দেরি হয়েছে। তবে (ফিল্ডিং দলের) আবেদনের আগ পর্যন্ত এটা বিবেচনা করা হয়নি।

হেলমেটের সমস্যা ধরতে পারার পর ম্যাথিউস আম্পায়ারদের সঙ্গে কথা বলেননি—সরঞ্জাম পাল্টাতে চাইলে একজন খেলোয়াড়ের কাছে প্রত্যাশিত আচরণ হলো তিনি আম্পায়ারকে জানাবেন। সেটা না করে তিনি ড্রেসিংরুমে ইঙ্গিত করেন হেলমেট পাল্টানোর।

তিনি যদি আম্পায়ারকে সমস্যাটা বলতেন এবং একটু সময় চাইতেন, তাহলে তারা (আম্পায়ার) তাকে হেলমেট পাল্টানোর অনুমতি দিতেন, তখন হয়তো বিরতি দেয়া হতো এবং তাতে টাইমড আউট হওয়ার কোনো আশঙ্কাই থাকত না।

অনলাইন ডেস্ক