অবশেষে বিচ্ছেদের পথেই হাঁটছেন ঢালিউডের আলোচিত ও সমালোচিত জুটি পরীমণি ও শরীফুল রাজ। গণমাধ্যমকে বিবাহ বিচ্ছেদের কথা জানিয়েছেন নায়িকা পরীমনি।
রাজের ফেসবুক আইডি থেকে (২৯মে) দিবাগত রাতে রাজ ও তিন অভিনেত্রীর ব্যক্তিগত কিছু ছবি ও ভিডিও ফাঁস হয়। এ ঘটনার জন্য পরীমনিকে দায়ি করেন রাজ।
এবার এ নিয়ে গণমাধ্যমের সামনে মুখ খুলছেন ঢালিউড নায়িকা পরীমনি। তিনি সংবাদমাধ্যমে বলেন, রাজ আমার সঙ্গে থাকতে চাই না। তাই রাজ (২০মে) নিজের সব জিনিসপত্র নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাই। এরপর থেকে বাসায় ফেরে না, আর ফোনও রিসিভ করে না।
এদিকে বাড়ি থেকে বের হয়ে যাওয়ার প্রসঙ্গ মিডিয়ায় ফাঁস করে দিলে রাজ (৩ জুন) সংবাদমাধ্যমকে জানান, নায়িকা পরীমনি তার নামে মিথ্যা অপবাদ দিচ্ছে। অন্যদিকে পরীমনিকে মিথ্যাবাদী বলায় সংবাদ মাধ্যমে প্রমাণ তুলে ধরেন পরীমনি।
তিনি জানায় পরিচালক গিয়াসউদ্দিন সেলিম ও তার স্ত্রীর সঙ্গে রাজ (২০মে) সর্বশেষ বাসায় আসে।
পরিচালক সেলিম পরীমনিকে বলেন, রাজ তো তোমার সঙ্গে থাকতে চায় না। হঠাৎ এমন কথা শুনে পরী উত্তর দেন, রাজ আমার সঙ্গে থাকতে না চাইলে আমাকে ডিভোর্স দিক। আমি কেন দিতে যাবো?
এমন পরিস্থিতিতে পরিচালক সেলিম বলেন, তাহলে তোমাদের বাচ্চার কী হবে? পরীমণি জবাব দেন: ছেলে রাজ্য আমার কাছেই থাকবে। তবে বাবা হিসেবে রাজ ছেলেকে দেখতে যেতে পারবে।
তিনি বলেন, বিচ্ছেদের এমন কথাবার্তা চলার সময় রাজ ও সেলিম ভাইয়ের সাথে আমার অনেক কথা কাটাকাটি হয়। রাজ আমার চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন তোলে। একপর্যায়ে সেলিম ভাই, তার স্ত্রীসহ রাজ সব জিনিসপত্র নিয়ে বাসা থেকে বের হয়ে যায়।
পরী আরো বলেন, রাজ নিয়মিত বাসায় থাকে না। সন্তানের প্রতি সে দায়িত্ব পালন করে না। তবুও লোক দেখাতে বিভিন্ন ইভেন্টে আমরা একসঙ্গে অংশ নিয়েছি। কিছুদিন আগে আমি হাসপাতালে ছিলাম আমাকে দেখতেও যায়নি রাজ।
তাহলে কি বিচ্ছেদের দিকে যাচ্ছে রাজ পরীমণি সম্পর্ক? এমন প্রশ্নে পরী বলেন, (২০) মে আমাকে ছেড়ে রাজ চলে গেছে। বিচ্ছেদ তো সেদিনই হয়ে গেছে। শুধু আইনি প্রক্রিয়া হয়নি।
বিচ্ছেদ প্রসঙ্গে পরীমনি বলেন, একটা মানুষ চলে গেলে তো তাকে আর ধরে রাখা যায় না। আমি আর কল্পনায়ও ভাবতে চাই না শরীফুল রাজ আমার জামাই।
পরী হাসতে হাসতে বলেন, রাজ এখন বলে কী, আমাদের বিয়ের কাবিননামা নাকি ভুল। আমাদের নাকি ঠিক মত বিয়ে হয়নি। যে এই কথা বলতে পারে সে ভয়ংকর মানুষ। তার সঙ্গে থাকা যাবে না। শুধু কষ্ট লাগবে সন্তানের কথা ভেবে।
অনলাইন ডেস্ক
.jpg)
