‘খুফিয়া’ সিনেমায় এ কী করলেন বাঁধন!

 অনলাইন ডেস্ক    ১১ অক্টোবার, ২০২৩ ১৬:৫১:০০নিউজটি দেখা হয়েছে মোট 22 বার

বাংলাদেশের অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন বলিউড সিনেমা ‘খুফিয়ায়’ অভিনয় করেছেন। এই সিনেমায় অভিনয়ে প্রশংসা কুড়ালেও, তিনি যে চরিত্রটিতে অভিনয় করেছেন সেটি নিয়ে নেটিজেনদের সমালোচনার তোপে পড়েছেন।

অ্যাকশন স্পাই থ্রিলার ঘরানার সিনেমা ‘খুফিয়া’ গেলো ৫ অক্টোবর নেটফ্লিক্সে মুক্তি পেয়েছে । বাংলাদেশি অভিনেত্রী প্রথমবারের মতো বলিউড সিনেমায় অভিনয় করার কারণে সিনেমাটি নিয়ে বাংলাদেশের দর্শকদেরও আগ্রহের কমতি ছিল না।

নেটফ্লিক্স ইন্ডিয়া ইউটিউব চ্যানেলে গত মাসের ১৮ সেপ্টেম্বর এ সিনেমার ট্রেলার প্রকাশিত হলে বলিউড সিনেমায় বাঁধনের উপস্থিতি সবার নজর কাড়ে। কিন্তু ট্রেলারে নজর কাড়লেও, সিনেমাটি মুক্তি পাওয়ার পর অভিনেত্রী থেকে যেন মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন বাংলাদেশি দর্শকরা!

আসলে কী ছিল ওই সিনেমায়? ওই সিনেমায় বাঁধনের উপস্থিতি খুব কম হলেও নেটিজেনদের মন্তব্য, সিনেমায় যতক্ষণ তাকে দেখা গেছে, ততক্ষণই পর্দায় বাংলাদেশকে নেতিবাচকভাবে তুলে ধরেছেন অভিনেত্রী।

সিনেমায় বাঁধনের চরিত্রের নাম হেনা ওরফে অক্টোপাস। যে কিনা দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর প্রতি ক্ষিপ্ত থাকেন। এ সিনেমায় বাংলাদেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে নেতিবাচক হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে।

আরও পড়ুন: হঠাৎ কী হয়েছে সাফা কবিরের?...

এদিকে বাংলাদেশে এ পদে দায়িত্ব পালন করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার ব্যক্তি জীবন পর্যালোচনা ও বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে এ সিনেমাটির দৃশ্যপট কতটা যৌক্তিক তা এখন ভাবনার বিষয় দেশের সুশীল সমাজের।

প্রশ্নবিদ্ধ এ সিনেমায় একজন বাংলাদেশি অভিনেত্রী হয়ে কেন বাঁধন অভিনয় করেছেন এ বিষয়ে সংবাদমাধ্যমে তিনি বিস্তারিত কিছুই জানান নি। তবে বেশ কিছু দিন আগের সাক্ষাৎকার থেকে জানা যায়, বলিউড সিনেমায় কাজ করার আগ্রহ থেকে তিনি এ সিনেমায় অভিনয় করেন।

পরিচালক এই সিনেমায় অভিনয়ের জন্য প্রথমে মেহজাবীনকে প্রস্তাব দিলে, দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হবে এবং নিজের দেশকে বাজেভাবে উপস্থাপন করা হবে বলে সেই প্রস্তাবে রাজী হয় নি তিনি। পরে পরিচালক বিদ্যা সিনহা মিমকে এ সিনেমায় কাজ করার প্রস্তাব দেন। ওই একই কারণে বিদ্যা সিনহা মিমও সিনেমাটিতে অভিনয় করতে অস্বীকৃতি জানান।

থ্রিলার ঘরানার সিনেমাটিতে বাঁধন ছাড়াও অভিনয় করছেন টাবু, আলী ফজল ও আশিস বিদ্যার্থী।

অমর ভূষণের বই ‘এসকেপ টু নোহোয়ার’ অবলম্বনে সিনেমাটি নির্মিতি হয়েছে। যেখানে গল্পের প্রয়োজনে একজন বাংলাদেশের অভিনেত্রীর প্রয়োজন ছিল পরিচালকের।

অনলাইন ডেস্ক