আইয়ুব বাচ্চুর পঞ্চম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

 অনলাইন ডেস্ক    ১৮ অক্টোবার, ২০২৩ ১৫:১০:০০নিউজটি দেখা হয়েছে মোট 2 বার

বাংলা সংগীত জগতের এক মহান তারকা, উপমহাদেশের কিংবদন্তি গিটারিস্ট, সুরের জাদুকর, গীতিকার ও সংগীতশিল্পী, এলআরবির প্রতিষ্ঠাতা আইয়ুব বাচ্চুর ৫তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। এই কিংবদন্তি চট্টগ্রাম জেলার পটিয়া উপজেলার খরনা ইউনিয়নে ১৯৬২ সালের ১৬ আগস্ট জন্মগ্রহণ করেন।

তার বাবার নাম ইশহাক চৌধুরী ও মা নুরজাহান বেগম। দুই ভাই এক বোনের মধ্যে সবার বড় ছিলেন তিনি।

আইয়ুব বাচ্চু চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে থাকা চট্টগ্রাম কলেজ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি সম্পন্ন করেছেন।

ছোটবেলা থেকেই তিনি বিভিন্ন রক ব্যান্ডের গান শুনতেন। সেখান থেকেই ব্যান্ডের প্রতি ও গিটার বাজানোর প্রতি আগ্রহী হয়ে ওঠেন।

আইয়ুব বাচ্চুর বাবা তাকে ১১তম জন্মদিনে একটি গিটার উপহার দেন। সেই থেকেই গিটার বাজানোর প্রতি তার আগ্রহ আরো বেড়ে যায়।

১৯৭৮ সালে তিনি ‘ফিলিংস’ ব্যান্ডের মাধ্যমে পথচলা শুরু করেন। এরপর ১০ বছর সোলস ব্যান্ডের লিড গিটারিস্ট হিসেবে কাজ করেন।

নব্বইয়ের দশকে যাত্রা শুরু হয় ব্যান্ডদল ‘এলআরবি’র। আইয়ুব বাচ্চু মৃত্যুর আগে সুদীর্ঘ ২৫ বছর কাটিয়েছেন নিজ হাতে গড়া এলআরবির সঙ্গে।

আরও পড়ুন: আবারো বিতর্কে পরীমণি, অভিমান মাহির!...

১৯৯১ সালের ৫ এপ্রিল সোলস ছেড়ে এলআরবি গড়ে তুলেছিলেন আইয়ুব বাচ্চু। শুরুতে ব্যান্ডটির নাম রাখা হয়েছিল ‘লিটল রিভার ব্যান্ড (এলআরবি)। পরবর্তী সময়ে ১৯৯৭ সালে এই নাম বদল করে রাখা হয় ‘লাভ রানস ব্লাইন্ড’ (এলআরবি)।

আইয়ুব বাচ্চু পিতা-মাতার আদরের সন্তান হলেও তার সংগীত চর্চায় ছিল অনেক বাধা। সংগীতপ্রেমী বাচ্চু পারিবারিক নিষেধ উপেক্ষা করেই নিজের স্বপ্ন জয় করেছেন।

১৯৮৩ সালে মাত্র ৬০০ টাকা পকেটে নিয়ে ঢাকায় এসেছিলেন আইয়ুব বাচ্চু। কিন্তু অদম্য স্পৃহা, কঠোর পরিশ্রম ও সাধনায় তিনি অসংখ্য ভক্ত-অনুরাগীর আইয়ুব বাচ্চু হয়ে ওঠেন। কণ্ঠ-সুর আর গিটারের মন্ত্রণায় মাতোয়ারা করে রেখেছেন গানপ্রেমীদের।

আইয়ুব বাচ্চুর অধিক জনপ্রিয় গানগুলোর মধ্যে রয়েছে- এই রুপালী গিটার ফেলে, সেই তুমি, নীল বেদনা, আসলে কেউ সুখী নয়, কষ্ট, হাসতে দেখো গাইতে দেখো, একদিন ঘুম ভাঙা শহরে ও কষ্ট পেতে ভালোবাসি।

অসংখ্য ভক্ত-অনুরাগীকে কাঁদিয়ে ২০১৮ সালের ১৮ অক্টোবর না-ফেরার দেশে চলে যান ব্যান্ডসংগীতের উজ্জ্বল নক্ষত্র আইয়ুব বাচ্চু।

অনলাইন ডেস্ক