পাকিস্তানে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) নেতা ইমরান খান এবং তাঁর দলের ভাইস চেয়ারম্যান শাহ মাহমুদ কোরেশির বিচারিক রিমান্ড ২৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
পাকিস্তানের একটি বিশেষ আদালত গতকাল সাইফার মামলায় তাঁদের রিমান্ড বাড়িয়েছেন বলে জানিয়েছেন ইমরান খানের আইনজীবী নায়েম পানজুথা ।
আগস্ট মাসের শেষের দিকে তোশাখানা দুর্নীতির মামলায় ইমরানের কারাদণ্ড স্থগিত করেন হাইকোর্ট। কিন্তু মুক্তি পাননি তিনি। রাষ্ট্রীয় গোপন তথ্য প্রকাশের মামলায় আবারো আটক হন এই নেতা।
আরও পড়ুন: ইমরান না নওয়াজ, কে হচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী...
ইমরানের আইনজীবী নায়েম পানজুথা এক্সে লেখেন, ইমরান খানের কারাবাসের মেয়াদ দুই সপ্তাহ বাড়ানো হয়েছে। এর ফলে তাকে অন্তত ২৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কারাগারে থাকতে হবে।
ইমরানের বিরুদ্ধে অভিযোগ, যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূতের পাঠানো একটি গোপন তারবার্তার তথ্য তিনি প্রকাশ করেছেন এবং নিজের রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের জন্য বেআইনিভাবে ব্যবহার করেছেন।
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার (এফআইএ) অনুসন্ধানে এটা উঠে এসেছে। অন্যদিকে ইমরান খানের অভিযোগ, ওই তারবার্তা এটাই প্রমাণ করে যে তাকে ক্ষমতা থেকে সরাতে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী ও যুক্তরাষ্ট্র হাত মিলিয়েছে। সেনাবাহিনীকে এ জন্য ওয়াশিংটনের পক্ষ থেকে চাপ দেওয়া হয়েছে। কারণ, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর প্রাক্কালে তিনি রাশিয়া সফর করেছিলেন।
আরও পড়ুন: শুধু সমঝোতা নয়, পাকিস্তানও ছাড়বেন না ইমরান খান...
তবে ইমরানের এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে ওয়াশিংটন ও পাকিস্তানের সেনাবাহিনী। গত বছরের এপ্রিলে পার্লামেন্টের অনাস্থা ভোটে হেরে ক্ষমতা ছাড়তে হয়েছিলো ইমরানকে।
এরপর পাকিস্তানজুড়ে রাজনৈতিক অস্থিরতা দেখা দেয়। একের পর এক মামলায় জড়ানো হয় ৭০ বছর বয়সী সাবেক ক্রিকেট তারকা ইমরানসহ পিটিআইয়ের শীর্ষ নেতাদের।
দুর্নীতিসহ বিভিন্ন অভিযোগে মামলার কারণে পাকিস্তানের আসন্ন সাধারণ নির্বাচনে কারাবন্দী ইমরানের অংশ নেওয়া নিয়েও অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।
গত ৫ আগস্ট থেকে পাঞ্জাবের অ্যাটক কারাগারে আছেন ইমরান খান।
অনলাইন ডেস্ক
.jpg)
.jpg)
