নতুন অভিযোগে ফাঁসিও হতে পারে ইমরান খানের

 অনলাইন ডেস্ক    ২৫ সেপ্টেম্বার, ২০২৩ ১২:০৫:০০নিউজটি দেখা হয়েছে মোট 10 বার

রাষ্ট্রীয় সম্পদ আত্মসাতের অভিযোগে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) পার্টির নেতা ইমরান খান। গত ৫ অগাস্ট তিন বছরের কারাদণ্ড ও রাজনীতিতে পাঁচ বছরের নিষেধাজ্ঞা নিয়ে জেলে গিয়েছিলেন তিনি। পরে উচ্চ আদালতে তার সাজা স্থগিত হয়ে যায়।

কিন্তু রাষ্ট্রীয় গোপন নথি ফাঁস বা সাইফার মামলায় এখনো জেলে আছেন ইমরান খান। এর মধ্যে তার বিরুদ্ধে নতুন আরো কয়েকটি অভিযোগ আনা হয়েছে।

এই অভিযোগ প্রমাণিত হলে ইমরান খানের সর্বোচ্চ সাজাও হতে পারে বলে দাবি করেছেন পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা।

এই কর্মকর্তা আরো বলেছেন, লাহোরের সন্ত্রাসবিরোধী আদালতে দোষ প্রমাণিত হলে ইমরানের ফাঁসির সাজা হতে পারে। এছাড়া আলাদা করে এই মামলার বিচার করতে পারে ফৌজি আদালত। সেখানেই মৃত্যুদণ্ডের সাজা হওয়ার আশঙ্কা প্রবল বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি।

এছাড়াও রয়টার্সের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইমরান খানের বিরুদ্ধে সমন জারি করেছেন ইসলামাবাদের একটি আদালত। ২৫ সেপ্টেম্বর তৃতীয় স্ত্রী বুশরা বিবিকে নিয়ে ইমরানকে হাজিরা দিতে হবে আদালতে।

আরও পড়ুন: মাঝ আকাশে বিমানের দরজা খোলার চেষ্টা যাত্রীর...

বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সিভিল কোর্টের বিচারপতি কুদরুত-উল্লাহ্ জারি করেন এই সমন। তিনি জানান, ইমরান খানের বিরুদ্ধে রয়েছে ইসলামী রীতি না মেনে বিবাহ করার অভিযোগ।

বৃহস্পতিবার সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ৯ মে প্রথমবারের মতো ইমরান খান গ্রেফতার হয়েছিল। ইসলামাবাদ হাইকোর্টের সামনে থেকে পাক রেঞ্জারস তাকে গ্রেফতার করে।

এ ঘটনার জের ধরে রণক্ষেত্রে রূপ নেয় পাকিস্তানের বিভিন্ন শহর। এছাড়া পুলিশের সঙ্গে পিটিআই সমর্থকদের সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটে।

সেই সময় গ্রেফতারের প্রতিবাদ জানিয়ে সামরিক বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা চালান ইমরানের সমর্থকরা।

একাধিক সরকারি ভবনসহ রাওয়ালপিন্ডিতে সেনাসদর দপ্তরেও হামলা চালানো হয়। এ ঘটনাতেই সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তোলা হয়েছে।

এ বিষয়ে লাহোর পুলিশের তদন্ত কর্মকর্তা আনুশ মাসুদ জানিয়েছেন, গত ৯ মে যে বিক্ষোভের ঘটনা ঘটেছিল, তাতে ষড়যন্ত্রে জড়িত ছিলেন পিটিআই নেতা ও সমর্থকরা।

আরও পড়ুন: ইরানে পোশাকবিধি না মানলে নারীদের হতে পারে ১০ বছরের জেল...

সেদিনের ঘটনা নিয়ে পুলিশ পূর্ণ তদন্ত করেছে এবং প্রমাণ পাওয়া গেছে যে, সামরিক বাহিনীর ওপর হামলা ও বিক্ষোভে উসকানি দেওয়ার মদত দিয়েছিলেন ইমরান খান।

তদন্তকারী দল তাদের অভিযোগপত্র লাহোরের সন্ত্রাসবিরোধী আদালতে জমা দেবে।

এদিকে ইমরান কারাগারে থাকাবস্থায়ই পাকিস্তানের জাতীয় নির্বাচনের সময় নির্ধারণ করেছে দেশটির নির্বাচন কমিশন। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে দেশটিতে আগামী জানুয়ারি মাসের শেষ সপ্তাহে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

অনলাইন ডেস্ক