লাব্বাইক ধ্বনিতে মুখর আরাফার ময়দান

 অনলাইন ডেস্ক    ২৭ জুন, ২০২৩ ১৫:৪১:০০নিউজটি দেখা হয়েছে মোট 11 বার

আনুষ্ঠানিকভাবে লাখ লাখ মুসলমানের উপস্থিতিতে আজ মঙ্গলবার (২৭ জুন) পবিত্র হজ শুরু হয়েছে । ‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক’ ধ্বনিতে মুখরিত হচ্ছে আরাফাতের ময়দান।

হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা হলো সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত এই ময়দানে অবস্থান করা। বড়-ছোট, ধনী-গরিব, সাদা-কালো কোনো ভেদাভেদ নেই।

সব ভেদাভেদ ভুলে শুধু দুই খণ্ড সাদা কাপড় শরীরে জড়িয়ে সবাই একত্রিত হয়েছে আরাফার ময়দানে। সবার মুখেই একই ধ্বনি ‘আমি হাজির, হে আল্লাহ, আমি হাজির।

আগের তিন বছর সীমিত পরিসরে হজ অনুষ্ঠিত হয়। আরাফাতের ময়দানে সারা দিন অবস্থান করবেন বিশ্বের প্রায় ২৫ লাখ হাজি।

আরও পড়ুন: আজ থেকে পবিত্র হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরু...

শায়খ ইউসুফ বিন মুহাম্মদ উপস্থিত হাজিদের উদ্দেশে মসজিদে নামিরা থেকে খুতবা পড়বেন। হাজিরা আরাফাতের ময়দানে জোহর ও আসর নামাজ একসঙ্গে পড়বেন।

এরপর সূর্যাস্ত পর্যন্ত দোয়া-মোনাজাতে মগ্ন থাকবেন। সূর্যাস্তের পর সবাই মুজদালিফার উদ্দেশে গমন করবেন। সেখানে একসঙ্গে মাগরিব ও এশার নামাজ পড়ে রাত্রিযাপন করবেন।

পরদিন মিনায় বড় জামারায় গিয়ে পাথর নিক্ষেপ করবেন। এরপর কোরবানি করে মাথার চুল মুণ্ডন করবেন। তখন সাদা কাপড় বদলে স্বাভাবিক পোশাক পরে মিনা থেকে মক্কায় গিয়ে পবিত্র কাবা শরিফ সাতবার তাওয়াফ করবেন।

কাবার সামনের দুই পাহাড় সাফা ও মারওয়ায় সায়ি (সাতবার দৌড়ানো) করবেন হাজিরা। সেখান থেকে তাঁরা আবার মিনায় যাবেন। মিনা থেকে তাঁরা তিন দিন (বড়, মধ্যম, ছোট) ২১টি করে ৬৩টিসহ মোট ৭০টি পাথর জামারায় নিক্ষেপ করবেন।


এরপর মক্কায় বিদায়ি তাওয়াফ করে হজের সব কার্যক্রম সম্পন্ন করবেন। এ বছর সৌদি আরব গেছেন বাংলাদেশ থেকে হজব্রত পালন করতে এক লাখ ২২ হাজার ৮৮৪ জন। গত ২১ মে থেকে ২৪ জুন পর্যন্ত ৩২৫টি ফ্লাইটে তাঁদের পরিবহন করা হয় হজযাত্রী।

এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের ২৬ হজযাত্রী মক্কা ও মদিনায় মারা গেছেন।

হজ শেষ করে হজযাত্রীদের প্রথম ফিরতি ফ্লাইট হবে ২ জুলাই আর শেষ ফিরতি ফ্লাইট ২ আগস্ট।

অনলাইন ডেস্ক