মিয়ানমারে চারদিনে ৫০ জান্তা সেনা নিহত

 অনলাইন ডেস্ক    ২৭ জুলাই, ২০২৩ ১৭:০০:০০নিউজটি দেখা হয়েছে মোট 6 বার

মিয়ানমারে জান্তা বাহিনী ও সশস্ত্র গোষ্ঠীর সংঘর্ষের ঘটনা দিন দিন বেড়েই চলেছে। দেশটিতে জান্তা বাহিনী ও সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে সংঘর্ষে চারদিনে নিহত হয়েছেন অন্তত ৫০ সেনা সদস্য।

মিয়ানমারের সংবাদ মাধ্যম দ্য ইরাবতি সোমবার (২৪ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।

ইরাবতির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) থেকে রোববার (২৩ জুলাই) পর্যন্ত দেশটির চীন, কারেন ও সাগাইং প্রদেশে সশস্ত্র বিদ্রোহীগোষ্ঠী পিপলস ডিফেন্স ফোর্সেস 'পিডিএফ'এর সদস্যরা জান্তা বাহিনীর একটি ঘাঁটিতে হামলা চালায়। এই হামলায় ৫০ জান্তা সেনা নিহত হয়েছেন।

এছাড়াও দুপক্ষের সংঘর্ষে চলাকালীন সময় বেশ কয়েকজন বিদ্রোহীগোষ্ঠীর সদস্যদের নিহত ও আহতের খবর পাওয়া গেছে।

আরও পড়ুন: সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা স্থগিত...

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কারেন প্রদেশে জান্তা বাহিনীর কয়েকটি সেনা ঘাঁটি দখলে নিয়েছে সশস্ত্র বিদ্রোহীগোষ্ঠী 'পিডিএফ'। সেনাদের বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ জব্দ করেছে পিডিএফ। কারেন ছাড়াও চীন ও সাগাইং প্রদেশেও জান্তা সেনার কয়েকটি ঘাঁটিতে হামলা চালায় বিদ্রোহীগোষ্ঠীটি।

এদিকে মিয়ানমারের পশ্চিমাঞ্চলে অভিযান জোরদার করেছে জান্তা বাহিনী।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, গত দুই সপ্তাহ ধরে অন্তত ২০টি গ্রামে অভিযান চালিয়ে জান্তা বাহিনী স্থানীয়দের ২ শতাধিক বাড়িঘর পুড়িয়ে দেয় হয় এবং তাদের ওপর নির্যাতন চালায়।

২০২১ সালে গণতন্ত্রপন্থি নেত্রী অং সান সুচিকে হটিয়ে সামরিক বাহিনী ক্ষমতা দখলের পর থেকেই মিয়ানমারজুড়ে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। এতে করে বেসামরিক নাগরিক ও বিদ্রোহী অধ্যুষিত অঞ্চলগুলোতে সেনাবাহিনীর দমন-পীড়ন বেড়ে যায়। এর ফলে প্রায় প্রতিদিনই জান্তা বাহিনীর সঙ্গে পিডিএফ, কেএনডিএফসহ বিভিন্ন বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে।

এতে নিহত হচ্ছেন অসংখ্য বেসামরিক নাগরিক। যদিও জান্তা বাহিনীর দাবি, সন্ত্রাস নির্মূলে এসব অভিযান চালানো হয়।

অনলাইন ডেস্ক