লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর প্রধান হাসান নাসরুল্লাহর হত্যাকাণ্ড নিয়ে মুখ খুলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি এই হামলাকে ‘ন্যায়বিচারমূলক পদক্ষেপ’ বলে মন্তব্য করেছেন। খবর আলজাজিরার।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, নাসরুল্লাহর হাতে যুক্তরাষ্ট্র, ইসরাইল ও লেবাননের হাজারো সাধারণ মানুষ মারা গেছে। হিজবুল্লাহ, হামাস, ইয়েমেনের হুতি এবং ইরানের সমর্থনপুষ্ট অন্যান্য সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর হামলা থেকে ইসরাইলের আত্মরক্ষার অধিকার রয়েছে।
বাইডেন জোর দিয়ে বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র সম্পূর্ণভাবে হিজবুল্লাহ, হামাস, ইয়েমেনের হুতি ও যেকোনো ইরান-সমর্থিত সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ইসরাইলের আত্মরক্ষার অধিকার সমর্থন করে।’
এছাড়া মার্কিন সেনা সদর দফতর পেন্টাগনকে মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন সামরিক বাহিনীর প্রতিরক্ষা অবস্থান জোরদার করার নির্দেশও দিয়েছেন তিনি।
এদিকে, মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট কামালা হ্যারিস বলেন, হাসান নাসরুল্লাহ একজন সন্ত্রাসী। তার হাতে আমেরিকানদের রক্ত লেগে আছে।
কামালা বলেন, কয়েক দশক ধরে হিজবুল্লাহ তার নেতৃত্বে মধ্যপ্রাচ্যকে অস্থিতিশীল করেছে এবং লেবানন, ইসরাইল, সিরিয়া এবং সারা বিশ্বে অগণিত নিরপরাধ মানুষকে হত্যা করেছে। আজ, হিজবুল্লাহর ভুক্তভোগীদের ন্যায়বিচার পাওয়ার অধিকার আছে।
তিনি বলেন, ‘ইসরাইলের নিরাপত্তার প্রতি আমার অটল অঙ্গীকার রয়েছে। আমি সবসময় ইরান এবং ইরান সমর্থিত সন্ত্রাসী গোষ্ঠী যেমন হিজবুল্লাহ, হামাস এবং হুতিদের বিরুদ্ধে আত্মরক্ষার জন্য ইসরাইলের অধিকারকে সমর্থন করব।’
শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) ইসরাইলের বিমান হামলায় হিজবুল্লাহর প্রধান হাসান নাসরুল্লাহ নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করে লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠীটি।
শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় বৈরুতে ব্যাপক হামলা চালায় ইসরাইল। ওই হামলায় নাসরুল্লাহ নিহত হন। তার আগে হাসান নাসরুল্লাহকে বিমান হামলা চালিয়ে হত্যার দাবি করে ইসরাইলি সেনাবাহিনী। লেবাননের দক্ষিণ উপশহরে অবস্থিত হিজবুল্লাহর সদর দফতরকে লক্ষ্য করে শুক্রবার হামলা চালায় ইসরাইলি বিমান বাহিনী।
এতে হাসান নাসরুল্লাহ নিহত হয় বলে শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দাবি করে তেল আবিব। তাৎক্ষণিকভাবে ইসরাইলের এমন দাবি নিয়ে কোনো মন্তব্য না করলেও পরে বিষয়টি নিশ্চিত করে লেবাননের সশস্ত্র সংগঠনটি।
অনলাইন ডেস্ক