নিখোঁজ টাইটানের কেউই বেঁচে নেই: মার্কিন কোস্টগার্ড

 অনলাইন ডেস্ক    ২৩ জুন, ২০২৩ ১০:৪৪:০০নিউজটি দেখা হয়েছে মোট 14 বার

টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে আটলান্টিকের তলদেশে যাওয়া ডুবোযান টাইটানের মধ্যে ছিলো ৫ যাত্রী, যারা মধ্যে আর কেউ বেঁচে নেই। টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখার সুযোগ করে দেওয়া প্রতিষ্ঠান ওশ্যানগেট এক্সপেডিশানস বৃহস্পতিবার রাতে এমন কথাই জানিয়েছে।

নিখোঁজ ডুবোযানের উদ্ধার অভিযান পরিচালনাকারী মার্কিন কোস্টগার্ডের কর্মকর্তারাও একই তথ্য দিয়েছেন। ধারণা করা হচ্ছে, পানির প্রচণ্ড চাপে ডুবোযানটি বিধ্বস্ত হয়।


বৃহস্পতিবার টাইটানিকের কাছে ছোট আকারের সাবমেরিনটির কিছু ধ্বংসাবশেষ দেখতে পান উদ্ধারকারী দল। তারপর খবর আসে ওই ধ্বংসাবশেষ টাইটান থেকে খুলে পড়া কিছু অংশ। তখনই অনেকটা নিশ্চিত হওয়া যায় যে টাইটান এবং ভেতরে থাকা পাঁচজনের পরিণতি।

আরও পড়ুন: সুইজারল্যান্ডে বিমান বিধ্বস্তে নিহত সহ আহত কয়েকজন...

কিন্তু তারপরও অনুসন্ধান চালিয়ে যাচ্ছিল যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে কানাডা, ফ্রান্সসহ আরও কয়েকটি দেশের উদ্ধারকারী দল।


সব তথ্য মিলিয়ে বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনে টাইটানের পরিণতি সম্পর্কে ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন কোস্ট গার্ডের রিয়ার অ্যাডমিরাল জন মাগার। ওই সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছেন, আমাদের মনে হচ্ছে আমরা টাইটানের ধ্বংসাবশেষ খুজে বের করতে পেরেছি। টাইটান ধ্বংসের কারণ কী তা স্পষ্ট নয় বলে উল্লেখ করেন তিনি।

পাঁচ অভিযাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করা যাবে কি না, তা নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। ২৩ হাজার পাউন্ড ওজনের এবং ২২ ফুট দীর্ঘ টাইটানের মালিক ওশেনগেট এক্সপেডিশন্স নামের কোম্পানি।


পর্যটকবাহী সাবমেরিনে ৫ যাত্রী হলেন– ৫৮ বছর বয়সী ব্রিটিশ ধনকুবের হামিশ হার্ডিং, ব্রিটিশ-পাকিস্তানি ব্যবসায়ী শাহজাদা দাউদ (৪৮) ও তার ছেলে সুলেমান দাউদ (১৯), ওশেনগেটের প্রধান নির্বাহী ৬১ বছর বয়সী স্টকটন রাশ। পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন, ৭৭ বছর বয়সী নৌবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত ডাইভার পল-হেনরি নারজিওলেট।

গত রবিবার যাত্রা শুরুর একঘণ্টা ৪৫ মিনিট পরই পানির উপরে থাকা মূল জাহাজের সঙ্গে ডুবোযানটির যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এরপর থেকে চলে উদ্ধার অভিযান। কিন্তু শেষপর্যন্ত সবাইকে হতাশ হতে হলো। টাইটানিকের মতোই একই পরিণত ঘটলো টাইটানেরও।

অনলাইন ডেস্ক