ইরানে পোশাকবিধি না মানলে নারীদের হতে পারে ১০ বছরের জেল

 অনলাইন ডেস্ক    ২২ সেপ্টেম্বার, ২০২৩ ১৫:১৩:০০নিউজটি দেখা হয়েছে মোট 39 বার

নারীদের পোশাক নিয়ে আগে থেকেই কঠোর অবস্থানে ছিল ইরান। এবার এ বিষয়ে আরও কঠোর হচ্ছে ইরানের সরকার। দেশটির আইন প্রণেতারা নারীদের পোশাকের বিষয়ে একটি বিল পাস করেছেন ।

বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) পাস হওয়া বিল অনুযায়ী, পোশাক বিধি লঙ্ঘন করলে নারীদের সর্বোচ্চ ১০ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।এএফপির বরাতে এ খবর নিশ্চিত করেছে এনডিটিভি।

খবরে বলা হয়েছে, হিজাব ও সতীত্বের সংস্কৃতি সমর্থনে আজ একটি বিল অনুমোদন করেছেন আইন প্রণেতারা। এই বিলটি তিন বছর ট্রায়ালে থাকবে। তবে, বিলটি প্রয়োগের জন্য ইরানের গার্ডিয়ান কাউন্সিলের অনুমোদন প্রয়োজন।

বিলের খসড়া অনুযায়ী, বিদেশি, শত্রুভাবাপন্ন সরকার, গণমাধ্যম বা সংস্থার প্ররোচনায় কোনো ইরানি নারী যদি হিজাব না পরেন তাহলে তার পাঁচ থেকে ১০ বছরের জেল হতে পারে। এছাড়াও দেশটিতে পুলিশ টহলও বাড়ানো হয়েছে।

আরও পড়ুন: স্ত্রীকে পিটিয়ে নগ্ন করে ঘোরালেন স্বামী...

এমনকি, নিয়ম অনুযায়ী পোশাক বিক্রির জন্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে নজরদারিও বাড়ানো হয়েছে। ইরানে আগে থেকেই পোশাকে হেরফের হলেই শাস্তি পেতে হত নারীদের।

হিজাব ইস্যুতে গত বছর পুলিশি হেফাজতে ২২ বছর বয়সী তরুণী মাহসা আমিনির মৃত্যুর পরে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে দেশটিতে। ওই বিক্ষোভে কয়েক ডজন নিরাপত্তা কর্মীসহ শত শত লোক নিহত হয়েছে এবং কর্মকর্তারা বিদেশি প্ররোচিত ‘দাঙ্গা’ আখ্যা দিয়ে হাজার হাজার বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করেছিলেন।

১৯৭৯ সালে ইরানে ঘটে এক রাজনৈতিক বিপ্লব, যা ইসলামি বিপ্লব নামে পরিচিতি পায়। এরপর থেকেই দেশটিতে হিজাব আইন করা হয়। ওই আইন অনুযায়ী নারীদের মাথার চুল ঢেকে রাখতে এবং লম্বা ও ঢিলেঢালা পোশাক পরতে হয়।

আইনটি লঙ্ঘনের দায়ে ইরানের অনেক নারীকেই তিরস্কার, জরিমানা ও গ্রেপ্তারের শিকার হতে হয়েছে।

অনলাইন ডেস্ক