৮ ফেব্রুয়ারি জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে তো ইমরান খান

 অনলাইন ডেস্ক    ২৩ নভেম্বার, ২০২৩ ১৪:৩৮:০০নিউজটি দেখা হয়েছে মোট 47 বার

পাকিস্তানে আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি দেশটির পরবর্তী জাতীয় নির্বাচন। তার আগে কারাগার থেকে মুক্তি নিশ্চিত করে নির্বাচনে দলকে নেতৃত্ব দিতে চেয়েছেন ক্রিকেটার তারকা থেকে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব বনে যাওয়া ৭১ বছর বয়সী ইমরান খান। যিনি ২০১৮ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন। পার্লামেন্টে অনাস্থা ভোটে হেরে যাওয়ায় মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই তিনি ক্ষমতা থেকে উৎখাত হন।

সাজা থেকে মুক্ত হতে না পারলে ভোটে অংশ নিতে পারবেন না সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তবে সংবিধানে যাই লেখা থাকুক না কেন, পাকিস্তানে দণ্ডপ্রাপ্ত নেতাদের বার বার ক্ষমতায় ফিরে আসার দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে।

একদিন আগেই ইসলামাবাদ হাইকোর্ট কারাগারে বিশেষ আদালত বসিয়ে ইমরান খানের বিচার প্রক্রিয়াকে অবৈধ ঘোষণা করেছে। এবার পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট দেশটির সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর জামিন আবেদন গ্রহণ করেছেন বলে জানিয়েছে তার আইনজীবী।

বুধবার সুপ্রিম কোর্ট ইমরানের জামিন আবেদন গ্রহণ করেন বলে জানান তিনি।

গত ৫ অগাস্ট তোষাখানা মামলায় ইমরানকে তিন বছরের কারাদণ্ড ও এক লাখ রুপি জরিমানা করেছিলেন ইসলামাবাদের জেলা বিচারিক আদালত। ওই রায় ঘোষণার পর সাবেক এই ক্রিকেট তারকাকে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। যদিও ওই মাসের শেষ দিকেই ইসলামাবাদ হাইকোর্ট ইমরানের ওই সাজা স্থগিত করে। কিন্তু তিনি এখনো জেল থেকে ছাড়া পাননি।

আরও পড়ুন: ইউক্রেনের কাছে ৩৬৪ মিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রি করেছে পাকিস্তান!...

তার বিরুদ্ধে আরো বেশ কিছু মামলা রয়েছে। গত মাসেই রাষ্ট্রীয় গোপন নথি ফাঁসের মামলায় তাকে অভিযুক্ত করা হয়। তার নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা থাকার কথা বলে কারাগারের মধ্যেই একটি বিশেষ আদালত বসিয়ে বিচারকাজ চালানো হচ্ছিল।

মঙ্গলবার এক্স–এ দেওয়া এক পোস্টে ইমরান খানের আইনজীবী নাঈম পানজুথা লিখেছেন, “কারাগারে পিটিআই চেয়ারম্যান ইমরান খানের বিচারের নোটিশকে বেআইনি ঘোষণা করেছে ইসলামাবাদ হাইকোর্ট।“

বুধবার এক্স-এ আরেক পোস্টে তিনি লেখেন, “সুপ্রিম কোর্ট জামিনের আবেদন গ্রহণ করেছেন। পরিবর্তী শুনানিতে উভয় পক্ষের বক্তব্য শোনার পর একটি সিদ্ধান্ত জানানো হবে।”

তবে কবে নাগাদ পরবর্তী শুনানি হবে সে বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি বলেও জানান তিনি। বলেন, সুপ্রিম কোর্ট এ বিষয়ে সরকারের কাছে তাদের বক্তব্য জানতে চেয়েছেন।

এদিকে পাকিস্থানের সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে ক্ষমতা থেকে উৎখাতের জন্য দেশটির প্রভাবশালী সেনাবাহিনীকে দায়ী করেছেন।

অনলাইন ডেস্ক