জোরপূর্বক সেনাবাহিনীতে ভর্তি, ঘুষ দিয়ে নাম কাটাচ্ছে ইউক্রেনীয় যুবকেরা

 অনলাইন ডেস্ক    ১৪ আগষ্ট, ২০২৩ ১৬:২৫:০০নিউজটি দেখা হয়েছে মোট 14 বার

রাশিয়ার সঙ্গে চলমান যুদ্ধে সেনা সংকটে ভুগছে ইউক্রেন। এর ফলে দেশটির যুবসমাজকে আইন করে সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে বাধ্য করা হচ্ছে। বাধ্যতামূলক এ নিয়োগ এড়াতে ঘুষ পর্যন্ত দিচ্ছেন ইউক্রেনীয় যুবকরা। অনেকে ১০ হাজার ডলার পর্যন্ত ঘুষ দিচ্ছেন যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১০ লাখ টাকারও বেশি।

এ তথ্য জানা গেছে ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের একটি প্রতিবেদনে।

সেনা সংকটের কারণে দেশটির সেনাবাহিনীতে নিয়োগে দুর্নীতি রোধে কড়া পদক্ষেপ নেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।

সম্প্রতি নিয়োগের ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগে সেনাবাহিনীতে নিয়োগ কার্যক্রম পরিচালনা করা আঞ্চলিকপ্রধানদের বরখাস্তও করেছেন।

ফিনান্সিয়াল টাইমস জানিয়েছে, কিয়েভ এবং মস্কোর মধ্যে চলমান যুদ্ধের সময় খসড়া হওয়া এড়াতে হাজার হাজার ইউক্রেনীয় পুরুষ ঘুষ দিয়েছে।

আরও পড়ুন: ভারতে বাসচাপায় একই পরিবারের সাত জন নিহত...

গত দেড় বছরের বেশি সময় ধরে চলা এই যুদ্ধে বিপুল পরিমাণ সেনা হারিয়েছে ইউক্রেন। চলমান পরিস্থিতিতে সেনাবাহিনীতে লোকবল বাড়াতে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি ১৮ থেকে ৬০ বছর বয়সি পুরুষদের দেশত্যাগের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন ।

২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ দিকেই দেশে মার্শাল ল জারির সময় এই নির্দেশ দেন জেলেনস্কি। কিন্তু তাতে খুব বেশি কাজ হয়নি। কারণ, অনেকে টাকার বিনিময়ে শারীরিকভাবে অযোগ্য হওয়ার সনদ কিনে সেগুলো নিয়োগ বোর্ডে জমা দিয়ে পার পেয়ে গেছেন।

শারীরিকভাবে অযোগ্য হওয়ার সনদ কিনতে অবশ্য প্রত্যেকটি যুবককে প্রায় ছয় হাজার ডলার পরিমাণ অর্থ ব্যয় করতে হয়েছে।

এই যুদ্ধে ইউক্রেনীয় সকল যুবকদের যোগদানের জন্য মনে ভয় রয়েছে তাই অনেক ইউক্রেনীয় পুরুষ অবৈধভাবে দেশত্যাগেরও চেষ্টা করেছেন। এতে অনেকে সফল হয়েছেন আবার অনেকে ব্যর্থ হয়েছেন।

আরও পড়ুন: সাত মামলায় ইমরান খানের জামিন খারিজ...

অবৈধভাবে সীমান্ত পাড়ি দিতে গিয়ে প্রায় ১৩ হাজারের বেশি যুবক আটক হয়েছেন। এ ছাড়া বিভিন্ন চেকপোস্টে জাল নথির কারণে আটক হয়েছেন ছয় হাজারের বেশি।

ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত মাসেই নিয়োগ দুর্নীতির কারণে ওডেসার আঞ্চলিক নিয়োগ বোর্ডের প্রধান ইভগেনি বরিসভকে গ্রেফতার করা হয়। তদন্ত কর্মকর্তাদের ধারণা, বরিসভ এসব দুর্নীতির মাধ্যমে অন্তত ৫ মিলিয়ন ডলার হাতিয়ে নিয়েছেন।

অনলাইন ডেস্ক